এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :
দীর্ঘ ছয় বছর পর ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির আজকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ পুরো বিএনপি পরিবারের মধ্যে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। পূর্বে সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখার অন্তর্ভূক্ত ইউনিয়ন হচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৫টি ইউনিয়ন। এগুলো হলো ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ও পোকখালী ইউনিয়ন। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের ১২ অক্টোবর বিকেলে বাসস্টেশনে পাহাড়িকা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলা ও তৃণমূল নেতাদের সাথে আলাপ কালে, কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক শহিদুর রহমান শহিদই একমাত্র প্রার্থী বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ইউনিয়নের ৭১ জন করে কাউন্সিলর উপজেলা শাখার ভোটে অংশ নিতে পারবেন বলে জানা যায়। তবে ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির মতে, দলে যারা বিভিন্ন ভাবে সময় ও অর্থ দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম ও দূর্দিনে নেতাকর্মীরা যাদের সবসময় কাছে পেয়েছেন তাদেরকেই যোগ্যতা বিচারে ভোট দিয়ে উপজেলা কমিটিতে নির্বাচিত করা হবে। জালালাবাদ বিএনপির সভাপতির মতে, সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক ব্যতীত অন্য কোন প্রার্থী নেই। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাবেক সাংসদ কাউন্সিল ছাড়াই ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে পারেন বলে তাঁর ধারণা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হলে তিনি যাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেধা রয়েছে ভোটদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেবেন বলে মন্তব্য করেন। এর সাথে তিনি আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টিও যুক্ত করেন। তার মতে, দক্ষতা ও যোগ্যতাই হচ্ছে একজন সংগঠকের মূল চালিকা শক্তি।
অন্যদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঈদগাঁও বাজারস্থ বিএনপির দলীয় অফিস এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। যেন প্রায়শঃ উত্সাহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সাথে তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। আবার গুরুত্ববহ তিন পদে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের কাউন্সিলরদের মধ্যে চলছে হিসেব-নিকেষ। সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুর রহমান শহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার পালা বলে জানান। সে সাথে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিয়ে সম্মেলনের সৌন্দর্য রক্ষার্থে নানা উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির আজকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও রামু-কক্সবাজারের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য লুত্ফর রহমান কাজল। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরা স্বপ্না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুর রহমান শহিদ।
You must be logged in to post a comment.