হামিদুল হক; ঈদগড় :
বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় কক্সবাজার জেলার ঈদগড় বাজারে পেঁয়াজসহ সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে। তবে পেঁয়াজের ঝাজে নাকাল এখন ঈদগড়বাসী।
জানা যায়, ঈদগড় বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ আর সব ধরণের সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত তিন সপ্তাহ আগে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি। সোমবার হাট বাজারে সকাল থেকে বাজারে ঘুরে দেখা গেছে দেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ ও কাচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা কেজি, বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, পটল ২০ টাকা কেজি, বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, শসা ২০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, কাকরোল ২০ টাকা, বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, ঝিঙ্গা ২০ বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টি লাউ ১০ টাকা কেজি, বর্তমানে ৩০ টাকা, কুমড়া প্রতিপিচ ২০ টাকা, বর্তমানে ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বর্তমানে ৫০/৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৩০ টাকা বর্তমানে ৪০/৪৫ টাকা কেজি, ঢেড়শ ২০ টাকা, বর্তমানে ৬০টাকা, শশা প্রতি কেজি বর্তমানে ৪০ টাকা, কচু লতা ৪০টাকা।
শুধুমাত্র আলুর দাম ছাড়া সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সময় বাজারে এ ধরনের অস্থিরতার সৃস্টি হয়। ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফার আশায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক সময় পণ্যর দাম বেশি নেয়।
রিক্সাওয়ালা আবুল কাশেম, দিনমজুর হোসেন আলী সহ একাধিক খেটে খাওয়া মনুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন চলা দায় হয়ে পরেছে। দিনে যে রোজগার করি তাতে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচেছিলাম। এতদিন শুধু চালের দাম বেশি ছিল কিন্ত এখন সব জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু আমাদের রোজগার সেই আগের মতই আছে। এখন আমরা দুচোখে অন্ধকার দেখছি। সাধারণ মানুষের দাবি নিয়মিত বাজারে মনিটরিং থাকলে এ সিন্ডিকেটের অবস্থা থাকবেনা।
সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই এই মৌসুমে সবজির দাম বেশি।
You must be logged in to post a comment.