হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজারজেলার ঈদগড়-বাইশারী সড়ক থেকে অপহরণের দীর্ঘ সাত দিন পর অবশেষে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দক্ষিন বাইশারী এলাকার উসমান গনীর পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র সাদ্দাম হোসেন (১৮) ও পূর্ণবাসন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম মুন্সির পুত্র ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক নুরুল আমিন (২৪)।
১৪ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৫ টায় ঈদগড় ব্যাংডেবা নামক পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারিরা। অপহৃত সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই কাউছারের সাথে কথা বলে জানা
যায়, রাত দুইটার দিকে ঈদগড়ের বৈধ্যপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রিজার্ভ এলাকায় হাতে হাতে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণের টাকা নেয় বলে জানা যায়। টাকা নেওয়ার এক ঘন্টা পর ফোন করে তাদের ব্যাংডেবা নামক জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায়। পরে সকাল ৫ টার দিকে তাদের অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত নুরুল আমিনের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের মুক্তিপণ হিসেবে দরকষাকষি শেষে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের শরীরে একটুও শক্তি নেই। বর্তমানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের চোখে, কব্জি এবং মাথায় আঘাত রয়েছে। সুস্থ হতে প্রায় এক সপ্তাহ লাগবে। অপহরণের পর থেকে নুরুল আমিনের মা-বাবা ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই ঈদগড়-বাইশারী সড়কের অলিরঝিরি এলাকা থেকে রাত দশটায় অপহৃত হয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর হাফেজ সাদ্দাম হোসেন (১৮) এবং নুরুল আমিন (২৩)। অপহরণের ঘটনার পরদিন রামু থানায় হাফেজ সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই মোঃ ফোরকান একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেন। অপহরণের পর থেকে তাদের উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালিয়েছেন বিভিন্ন প্রসাশন।
এ ব্যাপারে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আবুল হাসেম ও এএসআই মোরশেদ জানান, ঈদগড়-বাইশারী সড়কের পাশে গভীর জঙ্গল ও পাহাড় থাকায় অপহরণকারীরা সহজে পথ যাত্রীদের অপহরণ করে পালিয়ে যেতে পারে। এছাড়া অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ খুব বেশি কঠোর হলে অপহৃতদের বাঁচিয়ে রেখে উদ্ধারেও সংশয় থাকে। এসব বিবেচনায় অবশেষে ভিকটিমের পরিবার অপহরণকারীদের দাবীর মুখে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য হয়। তবে অপরাধী ও সন্ত্রাসী ধরতে অভিযান সহ যাবতীয় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর পরই ঈদগড় করলিয়ামুরার চিহ্নিত এক ডাকাত সহ দুইজনকে আটক করে চালান দিয়েছেন বলেও জনান তারা।
You must be logged in to post a comment.