হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া:
কক্সবাজারের রাজনৈতিক সচেতন এলাকা উখিয়াতে বেশ আগে থেকেই ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সচেতন মহল মনে করছেন, এর ফলে জালিয়াতি ও পেশিশক্তির দায় এড়ানোর আর কোন সুযোগ থাকবে না। আর স্থানীয় সরকার দলীয়ভাবে করা হলে এসব নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
এব্যাপারে সাবেক সাংসদ কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরি বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হলো। সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনগুলোতে ভোট জালিয়াতি, পেশিশক্তি ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেইনি। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচন কমিশন পাল্টাতে হবে। তিনি বলেন,স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হলে রাজনৈতিক সহিংসতা আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে। সে জন্য এটা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সু-শাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি ও পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক আলহাজ নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, অবৈধ প্রভাবে গণপ্রত্যাশায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। সচেতন নাগরিক ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি একরামুল হক বলেন, জনগণ শান্তি চায়। যারা শান্তি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। বিএনপি নেতা সালাম সিকদার বলেন, দলীয় নির্বাচন হলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মতো এবারও ছাড় দেয়া হবে না। উখিয়ার মাটি বিএনপি তথা শহীদ জিয়ার ঘাটি, সেটা ভোটের মাধ্যমে আরেকবার প্রমাণ করে দেয়া হবে। রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভোটার খোরশেদ আলম বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনকে টার্গেট করে মাঠে নেমে গেছেন। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, সকল দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দলীয় প্রতিকে ইউপি নির্বাচন হবে, তবে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। জামায়াতের একটি সূত্র বলছে, এবার উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সদস্যপদের প্রার্থীর তালিকা ইতিমধ্যেই প্রায় চুড়ান্ত করে রেখেছেন। ইউপি নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ২৯ ধারা অনুযায়ী ইউপি নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আরো ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসাবে আগামী জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে আগামী বছর মার্চ থেকে দেশজুড়ে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
You must be logged in to post a comment.