হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতা-কর্মীই ক্ষমতার সুফল হিসেবে চাওয়া-পাওয়ার অঙ্ক কষছেন।
সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদি উপস্থিত না থাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অসুস্থতার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী উপস্থিত থাকতে না পারলেও সকল নেতা-কর্মী তার সুস্থতা কামনা করেছেন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, উখিয়ায় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা আওয়ামী পরিবারে বিশ্বাসী খেটে খাওয়া মানুষ সত্যিকারের আওয়ামীলীগ তারা। অপরদিকে ইয়াবা সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবানরাও এখন আওয়ামীলীগে। ফলে মাঠপর্যায়ে এখন কোন্দল আর ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই দলটির নেতা-কর্মীরা। এমপি ও দলীয় নেতাদের মধ্যে চলছে বয়কট ও পাল্টা বয়কটের।
উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত বিষয় মরণ নেশা ইয়াবার কারণে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানালেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাংগঠনিক টিমের প্রধান শাহ আলম চৌধুরী রাজা। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, ত্যাগে ও আদর্শে নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই আওয়ামী লীগে আসবে। ইয়াবা সংশ্লিষ্ট কোনো বিতর্কিত নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগে স্থান নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেছেন, রাজাকার, আলবদর এদেশের মানুষকে জুলুম করেছে। তাদের ব্যাপারে জনগণের ধারনা স্পষ্ট। এখন জঙ্গী, সমাজ ও রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে নিয়োজিত তাদের ব্যাপারে নেতা-কর্মীদেও সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশ গ্রহণ মূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অপরদিকে উখিয়া-টেকনাফের এই আসনটিতে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী অনেকটাই নিশ্চিত। বিকল্প কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় অনেকটাই দায়সারাভাবে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম।
You must be logged in to post a comment.