সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ওসমান সরওয়ার এর পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ওসমান সরওয়ার এর পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

osman 1জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত, দক্ষিন চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী’র পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ২৭ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী খতমে কোরআন, মিলাদ ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বিকাল ৩টায় রামু চৌমুহনী চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোতাহারুল হক সিকদার। রামু ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আহবায়ক শামসুল আলম চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব তপন মল্লিক সভায় সকল শুভানুধ্যায়ীদের উপস্তিুতি ও দোয়া কামনা করেছেন।

অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ২০১০ সালের ২৭ আগষ্ট ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। সেদিন ছিল ১৬ রমজান।

কক্সবাজার জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কীর্তিমান পুরুষ আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ অক্টোবর রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মালেকুজ্জামান সিকদার।

তিনি ১৯৫৫ সালে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম নাইট কলেজ থেকে আইএ, ১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগে এমএ পাশ করেন।

ওসমান সরওয়ার আলম ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠক হিসেবে অংশগ্রহন করেন। ওই সময় পাক-হানাদার, রাজাকার, আলবদর বাহিনী তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।

স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধ ও পুণর্বাসন প্রকল্পে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০-১৯৭৩ সালে রামু-উখিয়া-টেকনাফ নির্বাচনী এলাকা হতে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ বন মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত-এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮. ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালের ভয়াবহ বন্যা-জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ-পূনর্বাসন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। রেডক্রস সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে ১৯৭৮ সালে বার্মিজ শরণার্থীদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি কক্সবাজার মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ ছিলেন। বেশ কয়েকটি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

এছাড়া রামু কলেজ, কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন।

তিনি ছিলেন সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯৫৭-১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজ সাময়িকী মসিরেখা সম্পাদনা করেন তিনি। ১৯৬১-১৯৬২ সালে ইকবাল হল ছাত্র সংসদের এজিএস ও ১৯৬২-১৯৬৩ সালে ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালে লাহোরে ছাত্র নেতৃত্ব প্রশিক্ষন শিবিরে যোগ দেন। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন।

এছাড়াও তিনি ১৯৬৮-৬৯ সালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি, ১৯৬৯-৭০ সালে চট্টগ্রাম জেলা লবণ উৎপাদক সমিতির সভাপতি, কক্সবাজার মহকুমা রেফারী ও আম্পায়ার এসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি, লায়ন্স ক্লাব, রামু দূর্বার শিল্পীগোষ্ঠি সহ অনেকগুলো সামজিক, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সভাপতি ও উপদেষ্টা ছিলেন।

– খবর বিজ্ঞপ্তি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/