দীর্ঘ সময় ধরে ‘কাস্ত্রো’ পরিবার কিউবা রাষ্ট্রের নেতৃত্বে ছিল। ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লব দিয়ে সেদেশে শুরু হয় ‘কাস্ত্রো যুগ’।এবার সেই যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
কিউবার বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাউল কাস্ত্রো রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াবার পর তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ-কানেল।
১৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউবার সংসদ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাউল কাস্ত্রোর পর রাষ্ট্রপতি হবেন মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল। রাউল কাস্ত্রো বুধবার সংসদ অধিবেশন চলাকালীন ডিয়াজ-ক্যানেলকে আলিঙ্গন করে তার সমর্থন নিশ্চিত করেন। এ সপ্তাহেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন রাউল কাস্ত্রো।
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লবের পর তিনি আমৃত্যু সরকার পরিচালনার সংকল্প ব্যক্ত করেছিলেন। তবে ২০০৮ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ২০১৬ সালে ফিদেল কাস্ত্রো মৃত্যুবরণ করেন। তখন ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই রাউল কাস্ত্রো রাষ্ট্র পরিচালনার ভার নেন। গত বছর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন তিনি। বর্তমানে রাউল কাস্ত্রোর বয়স ৮৬ বছর। তিনি অচিরেই মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
রাউল কাস্ত্রোর পর তার কন্যা মারিয়েলা বা পুত্র আলেহান্দ্রো ক্ষমতাসীন হবেন, এমন আশা করে এসেছেন অনেক কিউবান নাগরিক। মারিয়েলা কাস্ত্রো একজন সংসদ সদস্য এবং আলেহান্দ্রো কাস্ত্রো একজন সামরিক কর্মকর্তা। তবে তাদের বদলে মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেলকেই বেছে নিয়েছে দেশটির সংসদ।
মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল জানিয়েছেন, কাস্ত্রো ভাইদের নির্দেশিত পথেই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তিনি। কর্তব্যপরায়ণতার কারণে ডিয়াজ-ক্যানেলের সুনাম রয়েছে। ‘ডিয়া ই নোচে’ ডাকনাম অর্জন করেছেন তিনি, যার অর্থ হলো ‘দিন এবং রাত’। কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছে কি না তা পরিদর্শনের জন্য তিনি যেকোনো দিন, যেকোনো সময়ে উপস্থিত হয়ে যান বলে এই নাম দেওয়া হয় তাকে।
সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.