নিজস্ব প্রতিনিধি; কুতুবদিয়া :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২ ব্যক্তি। আহতরা হলেন বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের ফরিদুল আলমের স্ত্রী কুহিনুর আকতার (৫০), গুরা মিয়ার পুত্র ফরিদুল আলম (৫৫)।
আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত কুহিনুর আকতার এর অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে প্রকাশ গত ২৩ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ৯ টার সময় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী, স্টীমার ঘাট এলাকার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র ফরিদুল আলমের বসত বাড়ীতে একই এলাকার মৃত মফিজ আলমের পুত্র মোহাম্মদ হিরু (২২) এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লাঠি-সোটা, দা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে আহত ফরিদুল আলম জানায় গত এক বছর ধরে পাশ্ববর্তী প্রভাবশালী ব্যক্তি মৃত মফিজুল আলমের পুত্র মোঃ হিরু আমার পৈত্রিক ভোগ দখলীয় বসতভিটা দখল করার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় মারধরে করে বসত বাড়ী দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে আসছে। গত বছর এরকম মিথ্যা টাকা পাওয়ার অভিযোগ এনে আমাদের মারধর করে বসত বাড়ী ছাড়া করে।
এ সময় বসত বাড়ীর মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এক বছর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাকের উল্লাহ ও আজমগীর মাতবর এর সহযোগিতায় পূনরায় বসত বাড়ীতে অবস্থান করি। গত ২৩ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ৯ টায় একই ঘটানাকে কেন্দ্র করে মৃত মফিজ আলমের পুত্র মোহাম্মদ হিরু (২২), মোহাম্মদ রিফাত (২৫) কালা বদা (২৬), মৃত ইসমাইলের পুত্র মোঃ মানিক (৩৬), আবুল কালামের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৫) সহ ১০/১৫ জন লাঠি-সোটা, দা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ী ভাংচুর, লুটপাট এবং আমাদের আহত করে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় আহত কহিনুর আকতার এর ভাই মোঃ কাইচার।
You must be logged in to post a comment.