আপনি কি সফট ড্রিংস বা কোমল পানীয় পানে আসক্ত? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে আপনার অবশ্যই এই লেখাটি পড়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি কোমল পানীয় পান হাড় দুর্বল, ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধিসহ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কোমল পানীয় পানের ছয়টি ক্ষতিকর দিকের কথা।
১. হাড় দুর্বল করে
কোমল পানীয় হাড় থেকে ক্যালসিয়াম কেড়ে নেয়; যা হাড়কে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে ফেলে। সফট ড্রিংকসে যে ফসফরিক এসিড মেশানো হয়, সেটা হাড়ে থাকা ক্যালসিয়ামকে কমিয়ে দেয়। এ কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। কোমল পানীয়র মধ্যে থাকা ক্যাফেইনও হাড়কে দুর্বল করে দেয়। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নিন, কোমল পানীয় পান করবেন, না কি নিজের হাড় দুর্বল করবেন।
২. ওজন বৃদ্ধি
কোমল পানীয়তে বেশি পরিমাণ চিনি মেশানো হয়, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর আপনি হয়তো এরই মধ্যে জানেন, মোটা হওয়ার কী কী সমস্যা রয়েছে!
৩. বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ
কোমল পানীয় আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করে। এর ফলে আপনি বিষণ্ণ হয়ে পড়েন আবার কখনো বা বিরক্ত। এসব পানীয়তে রাসায়নিক এসপারটিম মেশানো হয়, যা মস্তিষ্কের রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে। আর এ কারণেই আপনার মেজাজ ফুরফুরে হওয়ার বদলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
৪. ডায়াবেটিস
যেসব লোকদের এর মধ্যেই ওজন বেশি বা পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে ডায়াবেটিসের, তাঁরা কোনো মূল্যে এই কোমল পানীয়কে এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি এই মুহূর্তেই পান করা ছেড়ে দেন তাহলেও অন্তত এক মাস লাগবে আগে পান করা পানীয়র চিনিগুলো সঠিকভাবে পরিপাক হতে।
৫. ক্যানসারের ঝুঁকি
শরীরের জন্য আরেক ক্ষতিকর উপাদান ফরমালডিহাইডও যোগ করা হয় কোমল পানীয়তে। আর এই উপাদান শরীরের কোষের ক্ষতি করে, এর জের ধরে আপনার ক্যানসারও হতে পারে। যদি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের পানীয় পান করেন তবে শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
৬. কিডনির কার্যক্রমকে ব্যাহত করে
কোমল পানীয় কিডনির কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। এসব তরল কিডনিতে ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি করে। যার ফলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।
– বাংলাদেশপ্রেস,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.