সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ঘরে ঘরে শারদ উৎসবের আমেজ : বিপনী বিতানে কেনাকাটার ধুম

ঘরে ঘরে শারদ উৎসবের আমেজ : বিপনী বিতানে কেনাকাটার ধুম

Puza - Ajit Himu 16-10-2015 (news & 1pic) f2অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

বারো মাসে তের পার্বণের এই দেশে, দুর্গাপূজাই সবচেয়ে মহাসমারোহে পালন করা হয়। সারাদেশের মতো পর্যটন রাণী সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারেরও দূর্গাপূজাকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে পুরো দমে। ইতোমধ্যে ১২ অক্টোবর থেকে মহালয়ার মধ্যদিয়ে প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর ঘরে ঘরে শারদ উসবের আমেজ লক্ষ করা গেছে। বিপনী বিতানগুলোতে পছন্দের ও বাহারী কাপড় কিনতে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বনিতারা ভীর করছে।

আশ্বিনের শেষ সময়ের ঘ্রাণ এখন প্রকৃতিতে। আসি আসি করছে শীত। আর বাঙালির ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ। কেননা আর মাত্র দুদিন পরেই দুর্গাপূজা।

কক্সবাজার শহরের মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বেদীতে প্রতিমা সাজানোর কাজ করছেন শিল্পীরা। আর পুরোদমে পূজার কেনাকাটা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

প্রতিমার অবয়ব তৈরির কাজও শেষ। বাকি আছে রং, পোশাক, আর গহনার কাজ। তাই নিরলস চলছে প্রতিমা শিল্পীর হাত। দুই এক দিন পেরুলেই বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

তাই মণ্ডপে মণ্ডপে এখন দেখা যায় প্রায় সমাপ্ত প্রতিমা। পুজোর আমেজ জামা কাপড়ের দোকানেও।

কক্সবাজারের পুরাতন পান বাজার, বড় বাজারে বিপনী বিতানগুলোতে পাওয়া যায় পূজার নানান আনুষঙ্গিক উপাচার। এখানে আসলে টের পাওয়া যায় উৎসবের দিনটি খুব কাছেই।

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পৌরহিত দয়াল চক্রবর্তী জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। এবার মা দুর্গা ঘোড়ায় চেপে মর্ত্যে আগমণ করেছেন এবং আগামী ২২ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবী আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন গজে (হাতি)তে করে। এতে সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামল হয়ে উঠবে বসুন্ধরা। এবার এই মাতৃশক্তি অসুর শক্তির বিনাশ করে মানবজাতিকে দেখাবে শুভবুদ্ধির পথ। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর নবমী ও দশমী তিথির পূজা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিধানে কক্সবাজার জেলার সব পূজা মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মধ্যে দিয়ে এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য সুদৃঢ় করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/