চকরিয়ায় কলেজ ছাত্রকে গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধরের অভিযোগ

চকরিয়ায় কলেজ ছাত্রকে গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধরের অভিযোগ

মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়াঃ

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল্লাহ আল বাকী সাঈদ ও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো উপজেলায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ী শ্রমিকদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। উত্তেজনা নিরসনে শিক্ষক ও পরিবহন নেতাদের নিয়ে আজ শুক্রবার মিমাংসা বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন চকরিয়া থানা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার জন্য চকরিয়া পৌর শহরের সোসাইটি স্টেশনে তিশা পরিবহনের একটি গাড়ীতে ওঠে ডুলাহাজারা কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র আবদুল্লাহ আল বাকী সাঈদ ও কামরুল ইসলাম সিহান। এসময় তিশা গাড়ীর কর্মচারীরা সাঈদকে গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ঘটনা দেখে কোরক বিদ্যাপীঠের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্র সাঈদকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

ঘটনাটি শুনে চকরিয়া থানার এসআই নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ ছাত্রদের তিশা গাড়ীর নাম্বার সংগ্রহ করে দিতে বলেন। ফলে কলেজ ছুটির পর ওই ছাত্ররা চকরিয়া পৌরসভাস্থ শহীদ আবদুল হামিদ বাস টার্মিনালে গাড়ীটির নাম্বার সংগ্রহ করতে যায়। এসময় শ্রমিকরা দুই ছাত্রকে আটকে রেখে দূর্ব্যবহার করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জানাজানি হলে দুপুরে কলেজ গেইটে কয়েকটি যানবাহনের কাঁচ ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-জনতা।

ঘটনার ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, কতিপয় শ্রমিকের অন্যায়ের প্রেক্ষিতে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার মিমাংসাসহ কলেজ ছাত্রদের গণপরিবহনে যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে আজ শুক্রবার আলোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ন্যায্য ভাড়া প্রদান স্বত্বেও গাড়ীর শ্রমিকরা ছাত্রদের গাড়ীতে তুলতে অনিহা প্রকাশ করে। কোন ছাত্র গাড়ীতে উঠলে তাদের সাথে অহেতুক খারাপ আচরণ করে।

গাড়ীতে কলেজ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।