মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দাবিকৃত ৬০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ট্রাক চালককে মারধরে আহত করার অভিযোগে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের এসআই সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেছেন হাবিবুর রহমান নামের এক ট্রাক চালক। গত ৯ নভেম্বর বাদি আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বাদি ট্রাক চালক হাবিবুর রহমার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চরম্বা ইউনিয়নের সামশুল আলমের ছেলে।
আদালত ফৌজদারী দরখাস্তটি আমলে নিয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামী সেলিম মিয়া (৪০) মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
এজাহারে বাদি হাবিবুর রহমান দাবি করেছেন, চলতি মাসের ৭ নভেম্বর দুপুর ১২টার সময় মাছ ভর্তি ট্রাক নিয়ে চকরিয়া উপজেলার হারবাং থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। মাছভর্তি গাড়িটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালীস্থ মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় পৌঁছলে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখাতে বলেন। এসময় কাগজপত্র দেখানোর পরও এসআই সেলিম মিয়া গাড়ির জন্য ৩৫ হাজার এবং মাছের জন্য ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাছভর্তি গাড়িটি ফাঁড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। গাড়িটি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে এসআই সেলিম মিয়া আমাকে মারধর করে। পরে ঘটনাটি গাড়ির মালিককে জানালে তিনি ফাঁড়িতে এসে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে নেন।
ঘটনার ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম মিয়া বলেন, আমি চালককে মারধর করিনি। গাড়িটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মামলা দায়ের করি। কোন উৎকোচ নেয়া হয়নি। নগদ জরিমানা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মো.ফরহাদ জানান, ঘটনাটি আমার জানা ছিলনা। এখন জেনেছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.