মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (পিডিবি) ফয়জুল আলীম আলোসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মিটার দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি নালিশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার বিকালে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শমসের পাড়ার বাসিন্দা মৃত মফজল আলমের ছেলে ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম (৬৫) বাদি হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোর্টর পরিদর্শককে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগেও অনিয়মের অভিযোগে আবাসিক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আরো একটি নালিশি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাটি থানায় তদন্তাধিন রয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত দ্বিতীয় মামলার নথি থানায় পৌছেনি বলে থানার পরিদর্শক তদন্ত নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় অন্য আসামীরা হলেন-আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো, বিদ্যুত বিভাগের উপ-সহকারি আবাসিক প্রকৌশলী মাজহারুল আলম ও বিদ্যুত বিল সরবরাহকারী দেবানন্দ দত্ত।
বাদি অভিযোগে দাবি করেন, গত ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারী বিদ্যুতের দুটি মিটার নেওয়ার জন্য আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলিম আলো’র পরামর্শে ওই অফিসের বিদ্যুত বিল সরবরাহকারী দেবানন্দ দত্তের নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি চেক (চেক নং-৩৪৬৬৪৫৭) প্রদান করেন। তারা ওইসময়ে চেকের টাকা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক চকরিয়া শাখা থেকে উত্তোলনও করেন। কিন্তু গত এক বছর পর্যন্ত তাকে মিটার আজ দেবে কাল দেবে বলে কালক্ষেপণের মাধ্যমে হয়রানি করতে থাকেন। কয়েকদিন আগে ছৈয়দ আলম আবারও মিটারের জন্য চকরিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। এসময় ছৈয়দ আলমকে দেখার সাথে সাথে আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন। এঘটনায় রবিবার ব্যবসায়ি ছৈয়দ আলম চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থি’ত হয়ে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো বলেন, চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খারাপ ব্যবহারের কথাও তিনি অস্বীকার করেন।
You must be logged in to post a comment.