চকরিয়ায় বনভূমি দখলে আধিপত্য নিয়ে দুপক্ষের গোলাগুলি ও লাঠিপেটায় আহত-৩ : বন্দুকসহ গ্রেপ্তার-৪

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনভূমি দখলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। পরে সংঘর্ষে লিপ্তদের সাথে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনার পর পুলিশ ধাওয়া করে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার ৯মে দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বানিয়ারছড়া-ফাইতং সড়কের মহেশখালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ৪জন হলেন, চকরিয়ার মহেশখালী পাড়ার মৃত আবুল হোছনের ছেলে বাদশা মিয়া, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নরে উত্তর লক্ষ্যারচর গ্রামের ফজল কবিরের ছেলে মহসিন, চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিঙ্গার শামশুল আলমরে ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ফাইতংয়ের অংচা থোয়াইয়ের ছেলে এক পক্ষের বাহিনী প্রধান ওমর ফারুক। তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক উদ্ধার হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহশেখালী পাড়ার বিপুল বনভূমি দখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় ওমর ফারুক ও শাহজাহানের নেতৃত্বাধীন দুটি গ্রæপ দীর্ঘদিন ধরে মহড়া দিচ্ছিল ওই এলাকায়। বুধবার দুপুর একটার দিকে দুই গ্রæপের মধ্যে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এসময় একে অপরকে লাঠিপেটাও করে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়।

দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে হারবাং ফাঁড়ির আইসি আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বেলা দুইটার দিকে। পুলিশ পৌঁছা মাত্র পুলিশের সাথেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত ২০-২৫জন পালালেও বন্দুকসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের চকরিয়া থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ওসি ইয়াছির আরাফাতসহ একদল পুলিশ।

ওসি ইয়াছির আরাফাত বলেন, বন্দুকসহ থাানায় আনা ৪জনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে। তবে একাধিক সূত্র ওমর ফারুককে হত্যাসহ কয়েকটি মামলার আসামী বলায় যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আসামী হলে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

ওসি আরো বলেন, চকরিয়ার হারবাং ফাঁড়ির পুলিশ অস্ত্রসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করলেও সংঘর্ষ হওয়া ঘটনাস্থল লামার ফাইতং এলাকা হওয়ায় ধৃতদের লামা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলাও হবে ওই থানায়।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে লামা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এখন বান্দরবান সদরে অবস্থান করছি। ঘটনাটি আমার এলাকায় ঘটেছে কিনা এবং কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই।