৩৮দিনে দুই ধর্ষক গুলিতে নিহত : গুলি-বন্দুক উদ্ধার
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আবারও র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ বছর বয়সি শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুর রহিম (১৬) নিহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া এলাকায় এবন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহসহ একটি একনলা বন্দুক, তিনটি গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুর রহিম ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারী ভোর ৪টায় চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনু মিয়া (৫৫) নিহত হয়। আনু মিয়া ওই এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন। তার মরদেহের পাশ থেকেও একটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছিল। ৩৮ দিনে ব্যবধানে শিশু ধর্ষণ মামলার দুই আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো.রুহুল আমিন বলেন, শনিবার রাতে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আবদুর রহিম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক, তিনটি গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, গত ২৬ মার্চ দুপুরে রহিম উদ্দিন বরই দেওয়ার নাম করে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববতী একটি নির্মানাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি জ্ঞান হারালে আবদুর রহিম পালিয়ে যান। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর শিশুটির জ্ঞান ফিরলে সে কাঁদতে কাঁদতে পরিবারের কাছে বিস্তারিত জানান। পরে ২৮ মার্চ ওই শিশুর দাদা আলতাজ আহমদ বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে র্যাবের গুলিতে নিহত আবদুর রহিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
You must be logged in to post a comment.