মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ফরিদুল আলম নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হলেও তিনটার পরে দলিল দাখিলে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। এমনকি জমি রেজিস্ট্রির সময় মূল খতিয়ান না দিয়ে ফটোকপি দিলে ও খাজনা দাখিলা দিতে অপারগ হলে টাকা দাবি করা হয়। সোমবার ভূমি রেজিস্ট্রি সেবায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ায় গণশুনানী অনুষ্ঠানে এভাবে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয়রা।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সনাক সদস্য ও ভূমি বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক মহাব্বত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় গণশুনানীতে শুনানী করেন চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার এএসএম শামছুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ভূমি রেজিস্ট্রিতে হয়রানী ও প্রতিকার বিষয়ে শুনানীতে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
প্রশ্নের উত্তরে শাসছুজ্জামান বলেন, যেসব বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমি অবগত নই। আর জমি রেজিস্ট্রির সময় মূল খতিয়ান ও দাখিলা ছাড়া জমি রেজিস্ট্রির কোন নিয়ম নেই।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে এই শুনানী অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের শুনানী প্রতিমাসে একবার সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অনুষ্টিত হবে বলেও জানান তিনি। গণশুনানীতে সাধারণ মানুষ, দলিল লেখকসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.