কামাল শিশির, রামু :
কক্সবাজার চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপের চাপায় একই পরিবারের ৫ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক পিকআপ চালক সহিদুল ইসলাম (প্রকাশ- সাইফুলকে) ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব-১৫।
গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপের চাপায় একই পরিবারের ৪ সহোদর ভাই ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অপর সহোদর ভাই।
নিহতরা হলেন যথাক্রমেঃ অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০), স্বরণ সুশীল (২৪)।
উক্ত দূর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয় তাদের সহোদর ভাই রক্তিম সুশীল এবং বোন হীরা সুশীল। বর্তমানে রক্তিম সুশীল দু’জনই চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি নিহতদের পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পূজা শেষ করে তারা ৯ ভাই-বোন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট বাজারের নিকট রাস্তা পার হওয়ার সময় কক্সবাজারমুখী বেপরোয়া গতিতে চলমান পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মূলসড়ক থেকে নেমে গিয়ে তাদের চাপা দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে।
উক্ত ঘটনায় নিহতদের ভাই প্লাবন সুশীল (২২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পিকআপ চালককে আসামী করে একই দিনে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ১০৫/৯৮/৯৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫।
এরই প্রেক্ষিতে, র্যাব দূর্ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৫ এর অভিযানে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘাতক পিকআপ চালক সহিদুল ইসলাম @ সাইফুল (২২), পিতাঃ মোঃ আলী জাফর, লামা, বান্দরবান’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত সাইফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িতে বহনকৃত সবজি কক্সবাজার ডেলিভারি দেয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে পিকআপটি চালাচ্ছিল।
অধিক কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতির কারণে রাস্তা পাড় হওয়ার জন্য অপেক্ষারতদেরকে দূর থেকে লক্ষ্য করতে পারেনি। গাড়ীর অধিক গতি থাকার কারণে কাছাকাছি এসে লক্ষ্য করলেও গাড়িটি সে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে দূর্ঘটনাটি সংঘটিত করে বলে স্বীকার করেন।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
You must be logged in to post a comment.