সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / চলতি বছরে বিজিবির অভিযানে ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ইয়াবা জব্দ

চলতি বছরে বিজিবির অভিযানে ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ইয়াবা জব্দ

চলতি বছরে বিজিবির অভিযানে ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ইয়াবা জব্দ

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলা। এই উপজেলার সীমান্ত ঘিরে রয়েছে একটি নদী। টেকনাফের সাথে মিল নদীটির নামকরণ হয়েছে নাফনদী। এই বিশাল নদীটির পূর্বপাশে রয়েছে মিয়ানমার। এই নাফনদীটির একাংশ মিয়ানমারের। আদিকাল থেকে এই নদীটির অনেক সুনাম রয়েছে। কেননা, এই নদীটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা এবং এই নদীর বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ বেশ সুস্বাদু ও চাহিদা বেশি। এই নদী থেকে বছরের পর বছর এই উপজেলার হত দরিদ্র জেলেরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। অথচ এই নদীটির দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করে চলছে ইয়াবা উত্পাদিত দেশ মিয়ানমারের নাগরিকরা। লক্ষ লক্ষ মরণনেশা ইয়াবা নাফনদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি প্রতিনিয়ত বানের পানির মত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঢুকছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের যুব সমাজ ও মিয়ানমারে পাচার কোটি কোটি টাকা।

এদিকে বেশ কয়েকমাস ধরে মিয়ানমারের কিছু রোহিঙ্গা জেলে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদেরকে টাকার লোভে ফেলে অপরাধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের ও বাংলাদেশের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ ৪২ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাস থেকে এই পর্যন্ত ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে। এতে মামলা হয়েছে ২৭৩ টি, আটক হয়েছে ১৬৬ জন।

বিজিবি সূত্রে আরো জানা যায়, জব্দকৃত ইয়াবাগুলোর মধ্যে অধিকাংশই নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জব্দ করা হয়েছে।

এব্যাপারে টেকনাফের সুশীল সমাজের মতামত নিয়ে জানা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি টেকনাফ উপজেলা ও নাফনদীটিকে সারাদেশে দুর্নাম রটে যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে মিয়ানমারে উত্পাদিত ইয়াবা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং রোহিঙ্গা। তাই আমরা মনে করি, মরণনেশা ইয়াবা প্রতিরোধ করতে হলে অরক্ষিত সীমান্তকে কাটা তারের বেড়া দিতে হবে এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কঠোর হচ্ছে প্রতিরোধ করতে হবে।

তারা আরো বলেন, টেকনাফ ৪২ বিজিবির জওয়ানরা ইয়াবা প্রতিরোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তার পাশাপাশি যদি প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা নিরলসভাবে এগিয়ে আসলে ইয়াবা প্রতিরোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দিন দিন কমে আসবে।

ইয়াবা প্রতিরোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ব্যাপারে টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এই পর্যন্ত আমাদের সৈনিকরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ইয়াবাসহ ১৬৬ জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে এবং মিয়ানমারের ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইয়াবা পাচারকারীরা যতই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন বিজিবি সদস্যরা তা প্রতিরোধ করার জন্য সজাগ রয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/