এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
জোয়ার এলে শিক্ষার্থীরা নৌকা দিয়ে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যায় আর ভাটার সময় কাদাজল ডিঙ্গিয়ে ফিরে আসে বাড়িতে। জোয়ার-ভাটার হিসাবের সাথে গড়মিল হয়ে গেলে সেদিন আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়না এ এলাকার ছাত্রছাত্রীদের। এমনই ব্যতিক্রম নিয়মে চলছে সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর বৃহত্তর গোমাতলীর ৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। কেননা এইসব বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য নেই কোনো সড়কপথ। প্রায় সারাবছরই ডুবে থাকে বিদ্যালয়ের আশপাশ। তারপরেও প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যাওয়া থেমে রাখেনি শিক্ষার্থীরা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যার্জনের লড়াইয়ে।
ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসা মিলিয়ে ৫টি প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্ভর করে জোয়ার ভাটার সাথে। প্রতিদিন সকালে জোয়ারের সময় শিক্ষার্থীরা নৌকা চালিয়ে বিদ্যালয়ে যায়, আর ফিরতে হয় ভাটার সময়। তাদের বিদ্যালয়ের সময়সূচিও নির্ধারণ করা হয়েছে অনেকটাই প্রকৃতির নিয়মের সাথে মিলিয়ে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়াতের জন্য নেই কোন সড়ক পথ। বছরের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ের আশ-পাশ পানিতে ডুবে থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়। জোয়ারের পানিতে কখনো ভিজে যায় বইখাতা, কখনো ভিজতে হয় নিজেদেরও।
ইউনিয়নের কয়েকজন সচেতন ব্যাক্তিদের মতে, রাজঘাট থেকে পশ্চিম গোমাতলী পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে। এলাকার লোকজন জানান, দ্রুত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হলে সেই সাথে অবসান ঘটবে শিক্ষার্থীদের জোয়ার-ভাটায় নির্ভর শিক্ষাজীবনের।
You must be logged in to post a comment.