Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / দুর্ঘটনা-অগ্নিকাণ্ড / টমটমের ধাক্কায় এতিম শিশু নিহত

টমটমের ধাক্কায় এতিম শিশু নিহত

টমটমের ধাক্কায় এতিম শিশু নিহত https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2024/06/Accident-Lash-Rafiq-2-6-24.jpg?resize=540%2C330&ssl=1

 


মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় টমটম ধাক্কায় ইমাম হোসেন নামে ৭ বছরের এক শিশু মারা গেছে। রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহত শিশু ইমাম হোসেন একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড তারাবুনিয়া পাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং রেপারপাড়া বাজারের আলীকদম ইসলামিয়া এতিমখানা ও হেফজখানার ছাত্র।


লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার সহকারী মেডিকেল অফিসার বিবি ফাতেমা বলেন, সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে মিনহাজ নামে এক সিএনজি ড্রাইভার হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মাথায় আঘাত লাগার কারণে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতে তার মৃত্যু হয়।


নিহত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সিএনজি ড্রাইভার মোঃ মিনহাজ। তিনি বলেন, রেপারপাড়া বাজারে টমটম ধাক্কায় শিশুটি গুরুতর আহত হয়। আমি ওদিক আসছিলাম। স্থানীয় জনতা শিশুটিকে আমার সিএনজিতে তুলে দেয়। সাথে দুর্ঘটনা কবলিত টমটমের ড্রাইভারও ছিল। লামা হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার শিশুটি মারা গেছে বলায় টমটম ড্রাইভার পালিয়ে যায়। শিশু আলীকদম ইসলামিয়া এতিমখানায় পড়ে। এতিমখানার লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে।


আলীকদম ইসলামিয়া এতিমখানার সভাপতি মোঃ মফিজ বলেন, শিশুটি আমাদের এতিমখানায় পড়ালেখা করতো। সে তারাবুনিয়া পাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে। পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। রাস্তা পারাপারের সময় বেপরোয়া গতিতে আসা টমটম তাকে ধাক্কা দেয়।


শিশু মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে লামা হাসপাতালে আসে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। ঘটনাস্থল যেহেতু আলীকদম থানায় পড়েছে তাই পরবর্তী আইনী কার্যক্রমের জন্য লাশ আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ৫

হামিদুল হক; ঈদগড় :কক্সবাজার জেলার ঈদগড় সড়কে সিএনজি -মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/