গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
পর্যটন জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বিভিন্ন সড়কের অলিতে গলিতে চলছে নাম্বার বিহীন টমটম, সিএনজি, অটোরিক্সা। আবার এই সমস্ত যানবাহনের বেশির ভাগ চালক হচ্ছে কম বয়সি, অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহীন। এই সমস্ত অধক্ষ চালকরা সড়কে কিভাবে গাড়ী চালাতে হয় তাও তাদের জানা নেই। নিয়মনীতি না মেনেই তার সড়কে গাড়ি চালায়। এতে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। অদক্ষ চালকদের কারনে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারি সাধারন মানুষ। অধক্ষ ও কম বয়সি চালকদের কারনে সড়ক দুর্ঘটনার পঙ্গু হয়ে মৃতুর সাথে লড়াই করছে অনেক পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে গতকাল টেকনাফ পৌর শহরের কয়েকটি সড়ক পরিদর্শন করে দেখা যায়, টেকনাফের অটোরিক্সা, টমটম ও সিএনজির বেশির ভাগ চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর এবং কম বয়সি যুবক। তাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই কোন রোড পারমিট, অথচ দিনের পর দিন এই সমস্ত অদক্ষ চালক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই যানবাহন গুলো।
পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে টেকনাফের টমটম ও অটোরিক্সার বেশির ভাগ চালকের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই, বেশীর হচ্ছে মিয়ানমার থেকে এই পাড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক।
টেকনাফ পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন সড়কের আনাচে-কানাচে যে সমস্ত টমটম, অটোরিক্সার চালকরা কম বয়সি ও অদক্ষ তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি যে সমস্ত অটোরিক্সা, টমটম, সিএনজি নাম্বার বিহীন সেই সমস্ত যানবাহন গুলোকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান।।
এব্যপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দিন খাঁন বলেন খুব শীঘ্রই বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অধক্ষ, কম বয়সী এবং রোড পারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে সমস্ত যানবাহন গুলো নাম্বার বিহীন, সেই সমস্ত যানবাহান গুলোকে আইনের জালে বন্দী করা হবে।
You must be logged in to post a comment.