গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে হঠাৎ করে টর্নেডোর আঘাত হানলে লণ্ডভণ্ড হয়ে পৌর এলাকার ২০/২৫ টি বসতবাড়ী। এই আঘাতে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ-পালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। বসতবাড়ী গুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরিদর্শন করে দেখা যায়, ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টারদিকে টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়া, মধ্য জালিয়া পাড়া ও দক্ষিন জালিয়া পাড়ায় টর্নেডোর এ আঘাত হানে।
টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নাসিমা আক্তার জানান, আকস্মিকভাবে প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণিবাতাস এসে আমার সেমিপাকা বাড়ীর চালসহ মুল্যবান অনেক জিনিস পত্র উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমরা বাড়ীর সবাই ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ি। আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচ বসবাস করতে দেখা গেছে।
এছাড়া উত্তর জালিয়া পাড়ার ছালেহ আহমদের স্ত্রী নুর বেগম, মৃত হাসান আহমদের পুত্র মোঃ হাশেম ওরফে আংকু, মৃত আলী হোছনের পুত্র কাদের হোছন, মৃত লোকমানের স্ত্রী লায়লা বেগম, আলী হোছনের পুত্র শামসুল অালম ও কাজলীর বাড়ীসহ ২০/২৫টি বাড়ীর চাল, গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এই টর্নেডোর আঘাতে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।
তবে টেকনাফে সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্তরা মুষলধারা বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।
তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম জানান, আমি একটি বিশেষ কাজে চট্টগ্রামে ছিলাম। বর্তমানে টেকনাফের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছি। টর্নেডোর খবর পেয়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানতে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করার জন্য।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, অতর্কিত টর্ণেডোর গুটি কয়েক বাড়ি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। স্ব স্ব কাউন্সিলদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করতে বলা হয়েছে। তবে কোন ধরণের হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.