গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা-২০১৮ সালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উপজেলার সরকারী উন্নয়নের রুপরেখা নিয়ে আলোচনা সভা ও র্যালীর আয়োজন করে দেশের উন্নয়ন মুখী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। মেলায় প্রশাসনিক, এনজিও, ব্যাংকসহ সর্বমোট ৩৭টি স্টল বসানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দীকির সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় শুরু হয় উন্নয়ন মেলার কার্যক্রম। উক্ত আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট সহকারী (ভূমি) প্রনয় চাকমা।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ রফিক উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি, টেকনাফ পৌর আলওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষার্থীরা ও মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা ও উদ্বোধনী অনুষ্টানে সরকারী উন্নয়নের রুপরেখার চিত্র তুলে ধরলেও মেলার কার্যক্রম নিয়ে দায়সারা ভাব দেখা গেছে। ১/চেয়ার সংকটের কারণে বসতে পারেনি অতিথিরা।
একজন সরকারী কর্তা বসার জায়গা না পেয়ে ভাংঙ্গা চেয়ারে বসে উন্নয়নমুখী আলোচনায় অংশ গ্রহন করে। দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলার মেইন ফটকে উন্নয়নমুখী কোন চিত্র তুলে ধরা হয়নি।
সকাল ১০টা থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলার মেইন গেইটে সরকারী উন্নয়নের কোন ব্যানার,কোন ফ্যাষ্টুন লাগানো হয়নি। এই চিত্র দেখে টেকনাফ উপজেলার সচেতন সমাজের ব্যক্তি কর্তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন হলেও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনের উন্নয়ন হয়নি। সরকারী কর্মসূচি এলে তাদের কার্যক্রমের অবেহেলা চিত্র চোঁখে পড়ার মত।
উন্নয়ন মেলা ২০১৮ আয়োজিত মেলার স্টল গুলোর মধ্যে রয়েছে টেকনাফ পৌরসভা, সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিক, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, এ্যাকলাব, উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস, উপজেলা সমাজ সেবা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর,উপজেলা ভূমি অফিস, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ, অর্থ বিভাগ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন, ফায়ার সার্ভিসসহ সর্বমোট ৩৭ টি স্টল।
এদিকে দায়সার ভাবে উপজেলা প্রশাসন মেলার আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতাদের জন্য পর্যাপ্ত চেয়ারের ব্যবস্থা, উপজেলা ফটকের গেইট ও উপজেলা পরিষদের স্টলে ব্যানার না টাঙ্গানোসহ বিভিন্ন ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর।
তিনি বলেন, দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়। অথচ সেই জনগণের জন্য বসার স্থান করা হয়নি। এতে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের বার্তা কিভাবে পৌঁছবে।
You must be logged in to post a comment.