গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হ্নীলা ইউনিয়নের চিহ্নিত এক মাদক কারবারী নিহত, ৩ পুলিশ সদস্য আহত। এসময় অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ২৩ মে গভীর রাতে সদর ইউনিয়ন লম্বরী মেরিন ড্রাইভ এলাকায় একদল মাদক কারবারীর সাথে পুলিশের গোলাগুলি সংঘটিত হয়। এই ঘটনায় মাদক কারবারে জড়িত এক যুবক নিহত হয়।
নিহত যুবক হ্নীলা ইউনিয়ন নাটমুরা পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মোঃ হানিফ (৩৮) পুলিশের দাবী উক্ত ঘটনায় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে। তারা হচ্ছে কনেস্টবল আব্দুর শুক্কুর, মংথিন প্রো, জুয়েল বড়ুয়া। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, ২২ মে বুধবার সকালে পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চিহ্নিত এই মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বন্দুকযুদ্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ আরো জানান আটককৃত আসামী ইয়াবা কারবারী হানিফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৩ মে গভীর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা ইয়াবা, অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য অভিযানে যায়। এই সময় তার সহযোগীরা পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায় এরপর ঘটনাস্থলে আটক মাদক কারবারী হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে লাশটির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কনেস্টবল শরিফুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানার তথ্য সূত্রে জানা যায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হানিফ হ্নীলা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড এলাকার চিহ্নিত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারী। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.