নিজস্ব প্রতিনিধি; টেকনাফ :
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টেকনাফ পৌরসভা উত্তর জালিয়া পাড়ার মোস্তাক আহমদ মুছুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় টেকনাফ বাস ষ্টেশন চত্বরে অনুষ্টিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিকও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
ছাত্রনেতা রুবেল উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ হোসাইন খোকন, পৌর যুবলীগ নেতা নুরুল আলম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছৈয়দ আজিম, কামাল হোছাইন প্রমুখ।
এছাড়া অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসাইন, ইমান হোছাইন, লাল মিয়া, হেলাল, এমদাদ হোছাইন,কামাল হোছাইন সহ অনেকে।
বক্তরা বলেন অনতিবিলম্বে সমাজ কর্মী মোস্তাক আহমদ মুছুর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী করেন। তা না হলে আগামিতে তারা আরো নানা কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন। বক্তারা আরো বলেন সন্ত্রাসীরা দেশ ও জাতীর শত্রু এরা কখনো দেশ ও সমাজের মঙ্গল চায়না।
এসময় হাজার হাজার নারী, পুরুষ হামলাকারীদের ছবি সংযুক্ত পোষ্টার হাতে নিয়ে মাঠে নেমে আসে এবং হামলা কারী হাসান আলী, সালমান সহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবী জানায়।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।
উল্লেখ্য ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে চৌধুরী পাড়া এলাকায় প্রধান সড়কে টেকনাফ উত্তর জালিয়া পাড়ার মৃত জাগির হোসাইন এর পুত্র মোস্তাক আহমদ মুছ সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে। সড়কে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এসময় লোকজন তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে বর্তমানে আশংকাজনকবস্থায় ঢাকা মীরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে মুসুর অবস্থা আশংকাজনক। সর্বশেষ কিছুটা জ্ঞান ফিরে আসলে ও কারো সাথে বলতে পারছেনা। সন্ত্রাসীরা তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে ২৬ সেপ্টেম্বর আহত মুছুর ভাই কামাল হোসাইন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় হাছান আলীকে প্রধান করে ১৫জনকে এজহার নামীয় আসামী করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ২৬।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফে স্থানীয় জনসাধারনকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের টাকা, মালামাল কেড়ে নিত। সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে প্রয়াত আমির হোসাইন মেম্বারের বাড়ীতে হাছান আলী, সালমান ও নুর মোহাম্মদ প্রকাশ লাষ্টিপ এর নেতৃত্বে দিন দুপুরে অস্ত্র চালিয়ে বাড়ীতে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে রাখে। পরে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
You must be logged in to post a comment.