গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বিজিবি হাতে আটক হওয়া এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে নিয়ে বিজিবির অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় আটককৃত রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। এতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী ১টি অস্ত্র ও ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারী ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ২৬নং মোচনী ক্যাম্পের এ ব্লকের ১৮০/৫নং রোমের বাসিন্দা মোহাম্মদের পুত্র মোঃ জাফর আলম (২৬)কে আটক করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল সাবরাং ইউপির ৫নং সুলিশ গেইট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবার চালান অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর স্লুইচ গেইট সংলগ্ন খাল দিয়ে একদল লোক উঠতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারী গ্রুপের সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এদিকে ভোর হলে বিজিবি টহল দল ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি দেশীয় লম্বা অস্ত্র, ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিকে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী আটক মাদক কারবারী নিয়ে বন্দুক যুদ্ধের সত্যতা স্বীকার করেন।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ বাবুল, খবর পেয়ে সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সংঘটিত ঘটনার আগে বিজিবি সদস্যরা এই রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে আটক করে। অবশেষে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাদকের চালান উদ্ধার করতে গেলে উক্ত স্থানে ওৎপেতে থাকা মাদক কারবারীদের মধ্যে গোলাগুলির সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়।
You must be logged in to post a comment.