গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফের বড়ইতুলি উঠনি পাহড়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে একটি যাত্রী বাহী মিনি বাস খাদে পরে রোহিঙ্গা সহ ২০ যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে রোহিঙ্গা শরণার্থী নাগরিকরা রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কোন প্রাণ হানীর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী নাফ জেলা মিনিবাস স্পেশাল সার্ভিজ যাত্রীবাহী (ঢাকামেট্রো ব০২০৫৫০) বাসটি ৫০ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উঠনি পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়ে যায়। এতে বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই প্রাণ রক্ষায় লাফ দিয়ে রক্ষা হলেও ২০ জন মত যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতরা হল, উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের গুলজার বেগম (২৫), মুনছুর আলী (৩০), মো: হারুন (১৯), নুর আলম (৫৭), মো: রফিক (৬০), রিয়াজ উদ্দিন (১১), জরিনা (৭০), নুর কালাম (২৪), মো: সবিরান (১৯), মো.খান (২৪), ফরিদা খাতুন (৪০), পারভিন বেগম (১৮, ছৈয়দ নুর (৭), গোলতাজ বেগম (৩২), টেকনাফের মুচনী ক্যাম্পের মোঃ আলম (৩৫), রিয়াজুল (১২), লেদা ক্যাম্পের মনছুর আলী (৩৫), মোঃ খাঁন (২৫), উখিয়া থ্যাংখালী এলাকার নূর কামাল (২৪), ওই এলাকায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা জহুর আহম্মদ (৬০), আজিদা (২০), ফরমিন(২৪), জরিনা খাতুন (৭০), মোঃ জুবাইর (৩০), সাবরাং এলাকার ফরিজা খাতুন (৩০), একই এলাকার আব্দুর রহমান (৫), টেকনাফের কুলাল পাড়া এলাকার নয়না খাতুন (৫০), চকরিয়া উপজেলার মোঃ রফিক (৫০)। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত অবস্থায় অন্যত্র চিকিৎসা নিতে চলে যায় বলে জানা গেছে।
এদিকে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহি উদ্দীন খাঁন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। তবে দুর্ঘটনায় আহতদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র চিকিৎসা আহত যাত্রীদের সেবা প্রদান করেন। তবে আহতদের মধ্যে গোলতাজ বেগম, মনছুর, হারুন ও মোঃ খাঁনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয় বলে জানিয়েছেন।
এদিকে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে আনফিট বাস দিয়ে লোকজনকে যাতায়ত করতে হচ্ছে। এসব বাস ছাড়া যাতায়তের ভাল ব্যবস্থা না থাকায় এ দশার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাছাড়া বর্তমানে এ সড়কে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থান থাকায় তারাও সড়কের এসব বাসে করে যাতায়ত করছে। ফলে অর্থলোভী চালক ও হেলপাররা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে বলে জানায় ওই বাসে থাকা যাত্রী নুর আলম। এ সব অর্থ লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবী জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.