গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা অবহেলা ও দূর্ভোগ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের রোগীদের ওয়ার্ডগুলোতে দূর্গন্ধ ও নিয়মিত পানি না থাকায় রোগীরা বিভিন্ন প্রকার সমস্যার শিকার হচ্ছে। তার পাশাপাশি ওয়ার্ড বয় ও নার্সরা রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নারী ও পুরুষ রোগীদের জন্য আলাদা ভাবে ওয়ার্ড থাকার পরও একই ওয়ার্ডে নারী-পুরুষ রোগী রাখায় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, ২৪ জুলাই সোমবার দমদমিয়া এলাকার হাজী সামশুল আলমের বৃদ্ধ শাশুড়ী ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা অবনতি দেখে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেয়। এসময় রোগীর হেটে যাওয়ার শক্তি না থাকায় রোগীর সাথে আসা হাজী সামশুল আলম হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মচারী রফিককে ট্রলির কথা বললে না দিয়ে মাটিতে রাখার কথা বলে। মাটিতে কথা বললে এক পর্যায়ে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের সাথে কর্মচারী রফিক তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে ও খারাপ আচরণ করে। অবশেষে রোগীর স্বজনরা ট্রলি না পেয়ে অনেক কষ্টে হাসপাতালের ৩য় তলায় নারী রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। কিন্তু নারী রোগীদের ওয়ার্ডে সীট না দিয়ে কর্তব্যরত সেবিকারা পুরুষ ওয়ার্ডে সীট করে দেয়। এতে ভূক্তভোগী রোগীর আত্মীয় স্বজনরা টেকনাফ হাসপাতালের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
ঘটনার দুই দিন পর হাজী সামশুল আলম টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অবহেলা ও ভোগান্তির কথা সাংবাদিকদের অবগত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, রোগী ভর্তি করার পর থেকে টেকনাফ হাসপাতালে কোন পানি পাওয়া যায়নি। বাহির থেকে বোতল পানি ক্রয় করে রোগীদের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আমার মতো অন্যান্য রোগীরাও অবহেলা, অযত্নে ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
তিনি দাবী করেন, টেকনাফ হাসপাতালে তার শাশুড়ির মতো আর কোন রোগী যেন কর্মচারী রফিকের দূর্ব্যবহার, অবহেলা ও অযত্নের শিকার না হয়। তার পাশাপাশি টেকনাফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মচারী রফিকের বিহীত ব্যবস্থার অনুরোধ জানাচ্ছি। কর্মচারী রফিককে উপযুক্ত শাস্তি না দিলে টেকনাফ হাসপাতালে ভুক্তভোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও অবহেলার শিকার হবে।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পেরে কর্মচারী রফিককে অফিসিয়াল ভাবে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করা হলে সে অস্বীকার করে। তবুও আমরা অভিযোগগুলো মাথায় এনে তাকে শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে যেন কোন রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ না করে এবং ঠিক মতো রোগীদের সেবা দান করে।
You must be logged in to post a comment.