অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৪৮৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩৯ হাজার ৬৭২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত লাখেরও বেশি মানুষ।
শনিবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের ১২তম দিনে এসে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। একই সঙ্গে চলছে উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ সহায়তা।
এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের ত্রাণ নিয়ে ১৭৮টি ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় গিয়েছে। এগুলোতে জাতিসংঘের ৬টি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রয়েছে।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ এ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত মুছতে আরও বহুদিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘শতাব্দীর ভয়াবহতম’ এ ভূমিকম্পে মোট ৫০ হাজার ৫৭৬টি ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে দেশ দুটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
You must be logged in to post a comment.