মানুষের কথা হুবহু বলতে পাড়ায় ময়না ও তোতা পাখি বেশ জনপ্রিয়। পাখি প্রেমী মানুষের এই দুটি পাখি নিজেদের সংগ্রহে রাখার জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন। এই পাখি দুটিকে খুবই সহজে পোষ মানিয়ে মানুষের কথাগুলো শেখানো যায়।
তবে অন্য পাখিগুলো কিন্তু মানুষের কথাগুলো কখনো শিখে রপ্ত করতে পারে না। এছাড়া বলতেও পারি না। এখন প্রশ্ন হলো তোতা ও ময়না পাখি কীভাবে মানুষের কথাগুলো হুবহু বলতে।
এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আসুন তবে জেনে নেই তোতা ও ময়না পাখি কীভাবে মানুষের কথা হুবহু বলতে পারে।
তোতা পাখির বেশ লম্বা ও পুরু একটি জিহ্বা থাকায় এই পাখির ক্ষেত্রে কথা বলাটা সহজ। তবে বাজপাখি বা ঈগলের জিহ্বাও বেশ পুরু। তবে তারা কিন্তু মানুষের স্বর নকল করতে পারে না।
আবার দেখা যাচ্ছে ময়না পাখির জিহ্বা পুরু কিংবা লম্বা না হওয়ার পরও সে মানুষের কথা হুবহু বলতে পারে। তবে পার্থক্য কোথায়?
তোতা-ময়না যেভাবে মানুষের কথা রপ্ত করে অন্য পাখির চেয়ে তোতা ও ময়না পাখি বুদ্ধি অনেক বেশি। তাদের নিজেদের দক্ষতা ও বুদ্ধির কারণে তারা মানুষের কথা হুবহু নকল করতে পারে। তবে তোতা ও ময়নার কথা বলা এবং শোনার যান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ধীরগতি সম্পন্ন। এর কারণে যে শব্দ তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তা মানুষের মতই শোনায়।
তোতা ও ময়না সাধারণত মানুষের ঠোঁট নাড়ানো দেখে কথা নকল করে। তবে নিজের কথা বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই।
সূত্র:deshebideshe.com-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.