সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / রূপ লাবণ্য / ত্বকের যত্নে গোলাপজল

ত্বকের যত্নে গোলাপজল

অনলাইন ডেস্ক :

আদিকাল থেকে গোলাপজল বিশ্বজুড়ে রূপচার্চার প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৌন্দর্যচর্চার অন্যতম উপাদান হিসেবে গোলাপের ব্যবহার বহুদিন ধরেই স্বীকৃত। তাই ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে গোলাপজলের ব্যবহার চলে আসছে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং জরুরি। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে গোলাপজল ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এর ‘অ্যাসট্রিনজেন্ট’ উপাদান রোমকূপে ঢুকে থাকা তেল ও ময়লা বার করে আনে। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার ত্বকে তেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ব্রণের মতো সমস্যা কম হয়। এ কারণে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত টোনারের চেয়ে গোলাপজল অনেক বেশি উপকারী।

ত্বকে গোপাপজল ব্যবহারে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

খাঁটি গোলাপজল ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স রক্ষা করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া গোলাপজলে অ্যাস্ট্রিনজেন্টের গুণও রয়েছে। মুখ পরিষ্কার করার পর রোমছিদ্র বন্ধ করার জন্য গোলাপজলে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন।

গোলাপজলে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের অনেক ক্ষত এবং সেই ক্ষত থেকে তৈরি হওয়া দাগ মিলিয়ে দিতে পারে। গোলাপজলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখে। ফলে ত্বক থাকে ঝলমলে।

অনেকেরই চোখের নীচে একটা ফোলাভাব লক্ষ্য করা যায়। যে হেতু ওই অংশের ত্বক খুব পাতলা হয়, তাই ওই অংশ ফুলে গেলে তা সহজেই বোঝা যায়। এ ক্ষেত্রে গোলাপজল চোখের নীচে লাগাতে পারেন। যদি ক্লান্তি বা কম ঘুমের কারণে চোখের নীচের অংশ ফোলা লাগে, তা হলে গোলাপজলের বোতল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন।

‘মেকআপ রিমুভার’ হিসেবেও গোলাপজল বেশ কার্যকর। ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত যেমনই হোক, ত্বকের প্রতি রুক্ষ না হয়ে, এটি মেকআপ তুলে দেবে। এক চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে দু’টেবল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করুন। যত চড়া মেকআপই হোক উঠে যাবে। আই মেকআপ তোলার জন্যও এটি উপকারী।

ময়শ্চারাইজ়ারে কয়েকফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে মুখে মাখুন। ময়শ্চারাইজ়ার ত্বকে সহজেই শুষে যাবে, ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

শরৎ কিংবা শীত, যে কোনও ঋতুতেই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। মুখ শুকনো লাগুক বা ঘামে ভেজা হোক মুখে একটু গোলাপজল স্প্রে করে নিলেই ত্বক সজীব থাকবে। গোলাপজলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান থাকায় এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।

মন ভালো রাখতে হলে গোলাপ জলের তৈরি হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করলে মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অ্যান্টি–ডিপ্রেসেন্ট হিসেবে এটি কার্যকর।

ত্বকে অল্প কাটা, পোড়া বা ক্ষত হলে গোলাপজল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে তার উপসম হয়। কারণ, এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/