অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। শনিবার (১৬ জুলাই) অধিদফতরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানিগুলো কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতর ৫৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অধিদফতরের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।’
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে কয়েকটি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় সাত বছর পর আবারো বাড়ানো হয়েছে অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। এর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার প্যারাসিটামলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ থেকে শতভাগ। মাত্র ৪০ টাকার এমোক্সিসিলিনের দাম করা হয়েছে ৭০ টাকা, ২৪ টাকার ইনজেকশন ৫৫ টাকা। ৯ টাকার নাকের ড্রপের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮ টাকা। কোনো কোনো ওষুধের দাম ৯৯ থেকে ১৩২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুধু কাঁচামালের দামই বাড়েনি, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয়, ডলারের বিনিময়মূল্য, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কারণেই ওষুধ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এসব কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।
দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় ২১৯টি ওষুধ আছে। এর মধ্যে ১১৭টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে তা এখনো জানা যায়নি।
You must be logged in to post a comment.