এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাও :
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকা খ্যাত ঈদগড় যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে, পাশাপাশি নদীর গর্ভে বিলীনের পথে। যার কারণে, ঈদগাঁও – ঈদগড় ও বাইশারী এলাকার শত শত লোকজন চলাচলে সড়ক দিয়ে যে কোন মূহুর্তে দুঘটনার আশংকায় পথচারীরা। নিদারুন দূর্ভোগ ও দূর্গতিতে পড়েছেন যাতায়াতকারী এবং পথচারীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেহাল দশায় দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষজন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত প্রথম দফা বন্যায় ভেঙে যায় উক্ত সড়কের পানেরছড়া নামক এলাকাটি। কিন্তু সেটি কোন ভাবে সংস্কার করে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা বন্যায় ফের ওই সড়কের পানের ছড়া অংশে রাস্তাটি ভেঙে যায়। বিশাল এলাকার লোকজন উভয় দিকে চলাচলের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড় দিয়ে কোনরকম যাতায়াত করে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর করাল গ্রাসে পড়েছে যাতায়াতের গুরুত্ববহ এ সড়কটি। এমনকি ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসী নদী সড়কটিকে।
এদিকে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, কর্মজীবি, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার অসহায় লোকজন দৈনিক নুন্যতম দুইবার করে আসা যাওয়া করে থাকে। আবার জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজার ও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন উপ বাজারের ছোট বড় ব্যবসায়ীরা ঈদগড় এবং বাইশারী বাজার থেকে কাচা মালামাল কিনে নিয়ে ঈদগাঁও বাজারে বিকিকিনি করে থাকে অনেকে। উক্ত সড়ক দিয়ে হরেক রকমের যানবাহন চালাতে গিয়ে দুর্ভোগ ও দুর্গতিতে পড়েছে চালকরা। পাশাপাশি পুরো সড়কের যত্রতত্র স্হানে কর্দমাক্তে চেয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদকর্মী জানান, সড়কের এত কষ্ট আসলেই মেনে নেওয়া যায়না। এত দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে ঈদগড় ও বাইশারীবাসী প্রতিনিয়ত চলাচল করে যাচ্ছে। এহেন অবস্হার পরিত্রাণ চাই এলাকাবাসী। দ্রুত সময়ে এ সড়কের সংস্কার না হলে যাতায়াতের এক মাত্র এই রাস্তাটি যে কোন মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন এলাকার সর্বশ্রেনী পেশার মানুষজন। তাই সড়কটি রক্ষার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
You must be logged in to post a comment.