সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / বিবিধ / পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রী অদল-বদল করা হয়!

পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রী অদল-বদল করা হয়!

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2021/11/Wife-Change.jpg?resize=540%2C335&ssl=1

যেখানে পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রী অদল-বদল করা হয়!

অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিটা প্রাণীরই জৈবিক চাহিদা রয়েছে। তবে জগতের অন্যান্য প্রাণীর যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈধ-অবৈধের হিসেব না কষলেও মানুষের ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দানে বিবাহ প্রথা চালু রয়েছে। তা সে যে গোত্রেরই মানুষ হোক না কেন। সমাজে বসবাস করতে হলে বিয়ের মাধ্যমেই একজন নারী এবং পুরুষের যৌন সম্পর্কের বৈধতা প্রদান করা হয়।

পরকীয়া বাংলাদেশে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে অনেক নারী-পুরুষকেই পেতে হয় শাস্তি। কিন্তু এটির উল্টো চিত্র দেখা যায় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে। যেখানে স্বামী বা স্ত্রীর পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রীকে অদলবদল করার রীতি রয়েছে।

উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরে বসবাস করেন দ্রোকপা নামে এক ধরনের উপজাতি। তারা হিমালয়ের আর্য হিসেবেও পরিচিত। সংখ্যায় তিন হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি তারা। এরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যদের বংশধর। এই উপজাতিদের সংস্কৃতি বেশ ভিন্ন। তারা সাধারণ সমাজের কোনো নিয়মই অনুসরণ করে না। তারা একে অপরের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ ও স্নেহশীল। স্ত্রী অদলবদলের রীতি তাদের কাছে খুবই সাধারণ ব্যাপার।

অন্যদিকে বিশ্বে এমন উপজাতি আছে, যারা বাড়িতে কোনো মেহমান এলে তাদের আতিথীয়তার অংশ হিসেবে নিজের স্ত্রীকে তার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেয়। নামিবিয়ান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হিম্বা উপজাতির মধ্যেও এই ধরনের চল আছে। লাল চামড়ার জাতি হিসেবে পরিচিত এই উপজাতি ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’ নামের এই রীতি অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেন। বেশিরভাগই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটান তারা। এতে সম্পর্ক ভালো থাকে ও হিংসা দূর হয় বলে তাদের ধারণা।

আবার বরফের বসবাসকারী এস্কিমো উপজাতির সদস্যরা চাইলে স্ত্রী বদলের মাধ্যমে অন্য পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। আবার তার স্ত্রীও একইভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবাধে যৌনমিলন করতে পারেন।

এমনকি এক পুরুষ এস্কিমোর বন্ধু বা ভাইয়েরা তার স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এ ছাড়া যখন কোনো নারীর স্বামী শহরের বাইরে বা শিকারে দূরে যান তখন তিনি চাইলেই স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারেন। এমনকি অন্য পুরুষের সন্তান গর্ভে ধারণ করাও বৈধ এস্কিমো সমাজে।

এছাড়া মালাউইতে বসবাসকারী চেওয়া গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু রীতি আছে। তারা বিশ্বাস করেন, খাবার যেহেতু ভাগ করে খাওয়া যায়, ঠিক তেমনই স্ত্রীকেও ভাগ করা যায়! এই রীতি অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহেই এক বন্ধুর স্ত্রীকে অন্য বন্ধু এভাবে ভাগ করে নেয়। এরপর তারা রাত কাটায়।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর কালিরছড়ায় অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে প্রার্থী হলেন নুরুল আমিন

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষের মুখে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/