এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশঘেষে ঈদগাঁও উপজেলা পেরিয়ে রশিদনগর ইউনিয়নে এক পাহাড়ের চুঁড়ায় বিশাল জাহাজ। নান্দনিক পার্ক যার তার স্বপ্নতরী। যেটি দেখতে স্থানীয় ও দূর-দুরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। জাহাজটি দূর থেকে বেশ চমৎকার দেখায়।
পাহাড়ের চূঁড়ায় তরী নির্মাণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় অপরূপে সাজানো পর্যটন কেন্দ্রে। পাহাড়টির আশপাশ যেন বিনোদনের এক অনন্য স্থান। একদিকে সবুজ গাছ গাছালিতে ভরপুর অন্যদিকে মহাসড়ক। সড়কের পাশেই যেন স্বপ্নতরী। স্থানটি চোখ জুড়ানো। বিশাল পাহাড় ঘিরে বহুতল বিশিষ্ট জাহাজটি যেন অবিকল জাহাজের ফটোকপি।
পাহাড়ের নিচে স্বপ্নতরীর প্রবেশ পথে স্থানীয় দোকানীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই এখানে দর্শনার্থীরা আসেন। কেউ আসে বন্ধু-বান্ধব সহকারে, কেউবা আসে পরিবার পরিজন নিয়ে। তিনি আরো জানান, পার্কে প্রবেশের আগে অনেকে গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলে আর মোবাইলে সেলফি ধারণ করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাহাড়ের বুকে যেন বিশাল দৃষ্টিনন্দন জাহাজ। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে স্বপ্নতরী পার্ক। মহাসড়ক থেকে চলন্ত গাড়ির যাত্রীদের দৃষ্টি থাকে পাহাড়ের চূঁড়ায় জাহাজের দিকে। জাহাজের নিচতলায় তিনটি কক্ষ, দোতলায় সেমিনার কক্ষ ও রেস্টুরেন্ট, তিনতলায় বিশ্রামাগার এবং চারতলায় বসার স্থান। দেখতে যেন সাগরে ভাসমান একটি জাহাজে যা থাকে সব রাখা হয়েছে এটিতে।
স্থানীয় কজন ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, সাগরকন্যা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সাফারী পার্ক, হিমছড়ি, ইনানী সৈকতের সাথে এলাকার স্বপ্নতরী পার্কটি পুরোপুরি রূপ পেয়ে যুক্ত হলো নতুন বিনোদন স্পটে। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত স্বপ্নতরী। মহাসড়কের পাশে আরো একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের শোভা পেল পযটন কিংবা দর্শনার্থীরা।
You must be logged in to post a comment.