নিজস্ব প্রতিনিধি; চকরিয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদি। অপহরণকারীরা বাদিকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান। অন্যথায় আবারও পরিবারের কাউকে অপহরণ করে মেরে ফেলবে। বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদি ও পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের আন্নর আলী পাড়ার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন।
জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে পেকুয়া-বরইতলী সড়কের আন্নর আলী মাতবরপাড়ার মোড় থেকে পেকুয়া বাজারের চাউল ব্যবসায়ী মো. হারুন ও মুঠোফোন ব্যবসায়ী মো. নোমানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়। এরপর বিকাশ নাম্বারের সাহায্যে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। আরও ৭০ হাজার টাকা বিকাশ নাম্বারে দিলে ওই টাকা তোলার সময় চকরিয়া উপজেলার বেতুয়া বাজারের একটি দোকান থেকে মো.সেলিম উদ্দিন বাহাদুর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেলিম উদ্দিন বাহাদুর পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের জাফর আলমের ছেলে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ওই ব্যবসায়ীদের ২৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন ওই দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। পরে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. হারুনের বড়ভাই বেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি বেলাল উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সেলিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চারজনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সেলিম জেলে থাকলেও তাঁর সহযোগীরা প্রকাশ্যে ও মুঠোফোনে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের হুমকির কারণে পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক চলাফেরাও করতে পারছেন না।
বেলাল উদ্দিন আরো বলেন, গত ৩ জানুয়ারি চকরিয়া জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম আদালতে সেলিমের রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সেখানে গেলে নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমাদের শাসাতে থাকেন। একপর্যায়ে আমাদের তিনজনকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক কিশোর বড়ুয়া এগিয়ে গিয়ে আমাদের রক্ষা করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করারও দাবি জানান।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিশোর বড়ুয়া জানান, আসামিদের হুমকির বিষয়টি নিয়ে বাদিপক্ষকে সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আগামী রবিবার আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.