এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১২০শতক ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। আজগর আলী সিকদার ওয়াকফ’র জমির তথ্য গোপন করে দলিল সৃজন করেছে একটি প্রতারক চক্র। চলতি লবন মৌসুমে ওই জমির মালিকানা নিয়ে ওয়াকফ’র মতোয়াল্লি ও কবলা সম্পাদনকারী ব্যক্তির মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। ওয়াকফ’র কার্যকারক দীর্ঘ দিনের ভোগ-দখলীয় ওই ১২০শতক জমি লবন উৎপাদনের জন্যএকসনা চাষাকে লাগিয়ত করে। ফলে ওই জমিতে লবণ উৎপাদন করছে ওয়াকফ’র চাষা। এদিকে বিরোধপূর্ণ জমি থেকে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলে নিতে ওই প্রভাবশালী চক্র সম্প্রতি জমিতে গভীর রাতে শসস্ত্র লোকজন নিয়ে হানা দেয়। এ সময় লবণ উৎপাদনে ব্যবহৃত মাঠের পলিথিন কেটে তছনছ করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মগঘোনা এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। ওয়াকফর জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মতোয়াল্লি এনিয়ে গত দেড় মাস আগে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং-৭৯০/১৫। বিজ্ঞ আদালত জমির স্থিতি বজায় রাখতে ওয়াকফ’র মতোয়াল্লির পক্ষে নির্দেশনা দেয়। এরপ্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কবলাদার ব্যক্তি মোকতার হোসেন গং ভাড়াটে লোকজন নিয়ে লবণ মাঠে সম্প্রতি তান্ডব চালায়। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত এর হাকিম ১৪৪ধারার পক্ষে আদেশ দেন। পরে দ্বিতীয় পক্ষ মোকতার হোসেন গং রায়ের বিপক্ষে রিভিশন করেন কক্সবাজার জজ আদালতে। ওই আদালত শুনানী শেষে পুর্বের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে মোকতার হোসেন গং জজ আদালতের মামলা শুনানিধীন থাকলেও তথ্য গোপন করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অপর একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। আজগর আলী সিকদার ওয়াকফ’র মতোয়াল্লি ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেছেন অত্যন্ত প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ওই ব্যক্তিরা সরকারের ওয়াকফ সম্পত্তি জবর-দখলের পায়তারা করছেন। তারা জজ আদালতের আদেশে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমি দখলের জন্য অধিকতর নিম্ন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। বিচারিক প্রক্রিয়াকে সাংঘর্ষিক করতে বিজ্ঞ হাকিমের আদেশ গোপন করেছেন। সম্পত্তি রাষ্ট্রের আমরা তদারকি করছি। ওই সম্পত্তির ওয়াসিলা মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্টানগুলোতে ব্যয় করা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.