সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / পেকুয়ায় প্রভাবশালীদের মগনামায় লবণ চাষের জমি দখলের পাঁয়তারা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

পেকুয়ায় প্রভাবশালীদের মগনামায় লবণ চাষের জমি দখলের পাঁয়তারা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ভংগ করে লবণ মাঠের জমি দখল নিতে মরিয়া একটি শক্তিশালী প্রভাবশালী চক্র। যা নিয়ে এলাকায় চাঁপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে অসাধু প্রভাবশালী চক্রের জবর দখল পাঁয়তারা বন্ধে প্রশাসনের সকল মহলের আশু সু’দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিরীহ বর্গা চাষীরা। ঘটনাটি চলছে, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের রুকুদ্দিয়া এলাকায়। উ

উত্তেজনার খবরে বিরোধীয় লবণ মাঠে সরেজমিন পরিদর্শনকালে ওই এলাকার লবণ চাষী দক্ষিণ করিয়াঘোনা এলাকার মৃত আবদুল বারীর পুত্র আবু ছিদ্দিক, মিয়াজীপাড়া এলাকার মৃত নজু মিয়ার পুত্র মোঃ নুরুল আবছার, মটকাভাংগা কুমপাড়া এলাকার মৃত সামশুল আলমের পুত্র জসিমউদ্দিন, কামাল হোছনের পুত্র কফিল উদ্দিন, মুহুরীপাড়া এলাকার মৃত ফজল আহমদের পুত্র সালাহউদ্দিন, একই এলাকার আনোয়ার হোছনের পুত্র জিয়াউদ্দিন, হেলাল উদ্দিনের পুত্র নাছির উদ্দিন জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নের মরহুম রমিজ আহমদ চৌধুরীর পুত্র দু’সহোদর যথাক্রমে এরফানুল হক চৌধুরী ও আহসানুল হক চৌধুরীর উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানাধীন উপজেলার মগনামা মৌজার আর এস খতিয়ান নং-৩৮০, আর এস দাগ নং-৩৩৩৫ এর আন্দর মোতাবেক বি.এস ৯৯২নং খতিয়ানের বি.এস ৫২২২ দাগের ৭.৯৫একর জমি মোতাবেক দিয়ারা জরিপের মাঠ পর্চা ডি.পি ২৩৭৭ নম্বর খতিয়ানের ৭.১১ একর জমির প্রকৃত মালিক হন। বিরোধীয় জমির ১৮কানি জায়গায় আমরা কেউবা পৈত্রিক সূত্রে ৪০/৪২ বছর, কেউবা ১৫/২০বছর আবার কেউবা ১০-২বছর ধরে লাগিয়ত নিয়ে বর্গা চাষী হিসাবে লবণ উৎপাদন কাজে জড়িত রয়েছি। সম্প্রতি উক্ত লবণ চাষের জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধির। তিনি তার জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপট দেখাইয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বর্গা নেয়া লবণ মাঠের জমি জনৈক মমতাজ কামাল চৌধুরীর নিকট থেকে লাগিয়ত নিয়াছে উল্লেখ করিয়া মোটাংকের চাঁদা দিতে হবে জানিয়ে আমাদের চলতি বছরের চাষাবাদ বন্ধ ও লবণ মাঠের দখল ছেড়ে দেওয়ার হুমকি ধমকি পাঁয়তারায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে স্থানীয় থানায় আমাদের সহ অনেকের নামোল্লেখ করে থানায় হয়রানী মূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।

থানা পুলিশের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা থানায় শালিষী বৈঠকে যোগদান করি। থানা পুলিশ দু’পক্ষের বক্তব্য গ্রহন শেষে ন্যায় সংগত হইয়া কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা ঘুষ গ্রহণ ছাড়াই আমাদের চাষাবাদ বৈধতার পক্ষে মত দেন। এতে কতিথ স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধি থানার ও.সি ও পুলিশকে বসে নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের বর্গা চাষের লবণ মাঠে চাষাবাদ বন্ধ দখলচ্যুতের অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। যা নিয়ে পরবর্তীতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধি স্থানীয় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদীত অভিযোগ দায়ের ও তৎবিষয়ে পত্র পত্রিকায় একতরফা সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ প্রচার করে প্রশাসনের বিভিন্ন মহল ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দীর্ঘদিনের বর্গা দখল নেয়া লবণ চাষের মাঠের জমিতে ভীতিকর মহড়া ও বেপরোয়া হুমকি ধমকি প্রদর্শনে লিপ্ত রয়েছেন অভিযুক্ত স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধি। যা নিয়ে আমরা অসহায় লবন চাষীরা শংকিত ও উৎকন্ঠিত।

এনিয়ে স্থানীয় মৃত আলতাফ মিয়ার পুত্র নুরুল আবছার ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ নুরুল আজিম এমইউপিসহ আরো অনেকেই জানিয়েছেন, বিরোধীয় লবণ চাষের মাঠে স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধির নেয়া পক্ষের লোকের কোন বৈধ স্বত্ব নেই। ইতিপূর্বে একই জমি স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম. কফিল উদ্দিন বাহাদুরকে জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্প চুক্তি মূলে লায় লাগিয়ত দেখভালোর দায়িত্ব নেন। পরে, জমি পরিদর্শন ও দখলে গিয়ে তার নেয়া পক্ষের লোকের কোন স্বত্ব বৈধতা না পেয়ে তা ছেড়ে দেন। এরপর ছাত্রলীগ নেতা কফিলের ছেড়ে দেয়া ব্যক্তির কাছ থেকে একই কায়দার অবৈধ চুক্তি ষ্ট্যাম্প মুলে স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার এক স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধিটি বিরোধীয় লবণ মাঠের ১৮কানি জমি জবর দখলের পাঁয়তারায় মেতেছেন। এমনকি ওই জমির দখল নিতে অস্ত্রের মহড়া ও ফাঁকা গুলির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতিও ছড়ান। এতে ব্যর্থ হয়ে এখন ও.সি আর থানা পুলিশকে জড়িয়ে পত্র পত্রিকায় মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তিতে মেতে আছেন।

অন্যদিকে, জমির প্রকৃত মালিক মরহুম রমিজ আহমদ চৌধুরীর পুত্র দু’সহোদর যথাক্রমে এরফানুল হক চৌধুরী ও আহসানুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, দানপত্র স্বত্ব মূলে বিরোধীয় জমির মালিক লুৎফুন নাহার চৌধুরী। ওয়ারিশ মুলে আমরা।

এনিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশান মামলা নং-৯২২৯/০৮ মুলে আমাদের পক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান রয়েছে। কতিথ মালিক দাবীদার মমতাজ কামাল চৌধুরী বা তার পোষ্য স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধির আমাদের মালিকানাধীন লবন চাষের জমি জবর দখলের পাঁয়তারার কোন আইনগত বৈধতা ছিলনা, নাই ও থাকতে পারেনা। স্থানীয় কতিথ প্যানেল চেয়ারম্যান দাবীদার স্বঘোষিত প্রভাবশালী অসাধু জনপ্রতিনিধি যে লাগামহীন মিথ্যাচার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন তাতে সংঘাত ও উত্তেজনার শংকা দেখা দিয়েছে জানিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের সু’দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/