এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী প্রচন্ড গরমের পর হঠাৎ এক পসলা বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তীব্র গরম থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেয়েছে। সে সাথে শিশু কিশোর সহ আবাল বৃদ্ধ বনিতা সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে তাপদাহে হাবুডুবু খেয়েছিলো। বৈশাখের গরমে চটপট করছিলো বৃহত্তর এলাকার সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন। সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা- ছয় ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জে জনজীবনে দূর্বিসহ অবস্থা বিরাজ করছিলো। তাপমাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছিলো। ১৫ মে সকাল দশটার দিকে আকাশে মেঘাচ্ছন্ন পরে প্রচন্ড বাতাস তারপর স্বস্তির বৃষ্টি যেন জনজীবনকে একটু নতুন করে জীবন দিয়েছে। পাশাপাশি এ গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছিলো ডায়রিয়া, আমায়শা সহ পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাবন আর দৈনিক কাজকর্মেও ব্যাহত হচ্ছেছিল। দেশের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত হতে বহু কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হওয়া মৌসুমী বায়ু কিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পাচ্ছে তাপের সঙ্গে। গরমে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো একটু স্বস্তির ভাবে আশ্রয় নিচ্ছে গাছগাছালি কিংবা ছায়াবীথির তলে। প্রচন্ড গরমের ফলে বাজারে কিংবা পাড়া মহল্লাতেও বেড়ে গেছে হাতপাখার চাহিদা। এই উষ্ঠাগত গরম থেকে একটু হলেও মুক্তি পেতে হাত পাখা বেছে নিয়েছে সাধারণ মানুষজন। বিশেষ করে শ্রমজীবিরা এক পসলা বৃষ্টিপাতে একটু করে হলেও নিঃশ্বাস ফেলে। হালকা বাতাসও না থাকায় গরমই অতিষ্ঠ করে তুলছিল তাদেরকে।
সাধারণ লোকজনের মতে, ভ্যাপসা গরমে দেহ থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এর কারণে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করার পাশাপাশি প্রয়োজনে খাওয়ার স্যালাইনও খেতে হয়। তবে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর মতে, গরমে সবচেয়ে নিরাপদ হলো মিষ্টিময় ডাবের পানি। গ্রামাঞ্চলের মাঠ আর ক্ষেত খামারের বিল ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছিল। অল্প বৃষ্টিতে ক্ষেত খামার আর মাঠঘাট স্বস্তির প্রাণ খুঁজে পেয়েছে। এমন অবস্থায় লোকজনের একটি প্রত্যাশা এক পসলা বৃষ্টি, সেটি পূর্ণ হলো। আবার অনেক সাধারণ পরিবার কিংবা দরিদ্র পরিবারে একাধিক সদস্যদের মতে, তীব্র গরমে সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু স্বস্তি ভাবে ঘুমাতে গেলেও প্রচন্ড গরমের কারণে ঘুমানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
অন্যদিকে গরমের কারণে শিশু- বয়োবৃদ্ধরা ডায়রিয়া, সর্দি-জ্বর সহ নানান রোগে ভোগে হাসপাতালের বিছানা কিংবা বাড়িতে শুয়ে থাকতেও দেখা যায়। তবে কয়েকজন যানবাহন চালকের মতে, প্রায় সপ্তাহ ধরে দিনের বেলায় যানবাহন চালানো অসম্ভব হয়েছিল।
You must be logged in to post a comment.