কামাল শিশির; রামু :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজি খোলা টুয়াক নীলাদ্রি লেকে গলা কাটা বাণিজ্য শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। এমন অহরহ অভিযোগ করছেন লেকে আগত দর্শনার্থীরা।
নেই কোন নিয়ম নীতি আগন্ত পর্যটকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অঘোষিত নিয়ম বহির্ভূত টাকা। উক্ত লেকে চোখে পড়ার মতো দর্শনীয় তেমন কোন জায়গা নেই বললেই চলে, ছোট পরিসরের কিছু নৌকা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য লেকে আনা হলেও সেখানে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
টুয়াক নীলাদ্রি লেক শুরুতেই একজন নৌকা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকের কাছ থেকে নেওয়া হতো ২০ থেকে ৩০ টাকা। বর্তমানে ঐ নীতি পরিবর্তন করে ছোট্ট একটি নৌকায় প্রতি ঘন্টায় ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫ শত টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। যা সাধারণ পর্যটক উল্লেখিত পরিমাণ টাকা দিয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
পর্যটকদের বহনকৃত এবং ব্যবহারের গাড়ি নিরাপত্তার জন্য সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হলেও আদৌ নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যার কারনে যেকোনো মুহূর্তে মোটরসাইকেল সহ পর্যটকদের ব্যবহারের বিভিন্ন গাড়ি চুরি হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বেশ কয়েকজন পর্যটকের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে সোশ্যাল মিডিয়া ও ফেসবুকে মাধ্যমে এই লেকের কথা ছড়িয়ে পড়লে একটুখানি প্রশান্তির খুঁজে লেকে ঘোরাঘুরি সহ বিভিন্ন ইভেন্ট ভ্রমণ করতে চাইলে এখানে শুরু করা হয় ইফতেখারের গলাকাটা বাণিজ্য, যার কারণে আস্তে আস্তে এই লেকে আসা পর্যটক পিছু টান শুরু করেছে।
টুয়াক নীলাদ্রি লেকে নিয়ম বহির্ভূত টাকা উত্তোলনকারী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ইফতেখার সাথে জনৈক সাংবাদিকের নৌকা ভ্রমনে অতিরিক্ত টাকা আদায়, পর্যটকের গাড়ি সহ অন্যান নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাওয়া হলে সঠিক তথ্য না দিয়ে উল্টো পত্রিকায় নিউজ করার হুমকি দেন।
টুয়াক নীলাদ্রি লেকে নৌকা ভ্রমণে অতিমাত্রায় টাকা উত্তোলন বৈধতার বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলম এর সাথে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে আলাপ হলে কোন প্রকারের নিয়ম নীতি ছাড়া টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, বিধায় বিষয়টি অতিসত্বর প্রশাসনকে জানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান।
বাইশারী বাগগুলা বাজার কাগজিখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুভন শাহ এর সাথে টুয়াক নীলাদ্রি লেকের নৌকা ভ্রমণের উপর অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের বিষয়ে নিয়ে এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান অতিসত্বর বিষয়টি ব্যাপারে সরে জমিনে পরিদর্শন পূর্বক নীতিমালা দেখে নিয়ম বহির্ভূত কোন কিছু হলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
কক্সবাজার জেলার টুয়াক নীলাদ্রি লেক এন্ড রিসোর্ট এর সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সাথে এই প্রতিবেদক এর মুঠোফোন আলাপ হলে নিয়ম বহির্ভূত টাকা নেওয়া বিষয়টি তিনি অবগত নয়, এরকম যদি কেউ করে থাকে প্রমাণিত বলে তড়িৎ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান, পাশাপাশি লেকের সার্বিক উন্নত পরিবেশ ও নিরাপত্তার নিশ্চিতের সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
You must be logged in to post a comment.