২৮ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ডাকাতির শিকার হয়েছেন ১০টি ফিশিং ট্রলার।
সূত্রে জানা যায়, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের আব্বাস কোম্পানীর মালিকানাধীন এফ.বি আল্লাহর দান, বড়ঘোপ ইউনিয়নের মোঃ আলমের মালিকানাধীন এফ.বি আল্লাহর দান, হান্নানের মালিকানাধীন এফ.বি আল্লাহর দান, মীর কাশেমের মালিকানাধীন এফ.বি কাসেমসহ ১০টি ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত অবস্থায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে ডাকাতির শিকার হয়। এ সময় জলদস্যুরা ফিশিং বোটগুলোর আহরিত মাছ, মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং ৩টি ফিশিং ট্রলার মুক্তিপণ দাবীর উদ্দেশ্যে মাঝি মাল্লাদের অন্য ফিশিং ট্রলারে নামিয়ে দিয়ে কক্সবাজারের পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে নিয়ে যায়।
বুধবার দুপুর ১২ টার সময় ফিশিং বোটের মাঝির লুটকরা মোবাইল থেকে বোট মালিক আবব্বাস কোম্পানীর মোবাইলে ফোন করে প্রথমে ২ লাখ টাকা পরে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বোট মালিক কৌশল অবলম্বন করে কুতুবদিয়া থানা পুলিশকে অবগত করেন। কুতুবদিয়া থানা পুলিশ ফিল্ম স্টাইলে সিভিল পোশাকে মুক্তিপণ দাবী করা জলদস্যুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মুক্তিপণের টাকা জলদস্যুদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ধূরুং বাজার এলাকায় যায়।
এদিকে কনষ্টেবল মোঃ সায়েম ও মির্জা শাহাদাৎ জীবনের ঝুকি নিয়ে বোট মালিক আব্বাসের ভাগিনা ও বোটের অংশিদার পরিচয় দিয়ে জলদস্যুদের মোবাইলে ফোন করে ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য জলদস্যুদের দেওয়া ঠিকানা মোতাবেক ধূরুং বাজারের পশ্চিম দিকে চলে যায়।
পি এস আই দিবাকর রায়, এস আই আজহারুল, এস আই আমিনুল খুব নিকট থেকে ছদ্মবেশে জলদস্যুদের পিছু নেয়। জলদস্যুর মোবাইল ফোনে ফোন করে টাকা বুঝিয়ে দিতে যায় কনষ্টেবল মোঃ সায়েম। জলদস্যু বাদশা মাঝি টাকাগুলো গুনে নেওয়ার মুহুর্তে সায়েম জলদস্যুকে গলা ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতকড়া পড়িয়ে দেয়। এ সময় তার সহযোগীরা জলদস্যুকে ছিনিয়ে নিতে গেলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা দাওয়া দিয়ে রাসেল নামের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেন। বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা জলদস্যু বাদশা মাঝি (৩৮) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। সে লেমশীখালী ইউনিয়নের সতর উদ্দিন এলাকার জহুরুল আলমের পুত্র বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় পি এস আই দিবাকর রায় আহত হয়েছেন।
You must be logged in to post a comment.