বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ৩০ শতাংশ মমানুষ হাড়ক্ষয় রোগে আক্রান্ত। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, গায়ে রোদ লাগানো (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ১০ মিনিট), ধূমপান ত্যাগ, শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
সারা বিশ্বেও এ রোগের প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। গড়ে প্রতি সেকেন্ড বিশ্বে তিনজন করে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরুষদের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে সাধারণত এ রোগ হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হরমোন, যেমন- টেস্টোস্টেরন, গ্রোথ হরমোনের অভাব, ভিটামিনের অভাবে এ রোগ হতে পারে। ২১ থেকে ৩৯ বছর বয়সের মধ্যেই পূর্ণ হাড় তৈরি হতে হবে। এটি পিক বোন মাস হিসাবে অভিহিত। অর্থাৎ ওই বয়সে যার হাড় যত শক্ত হবে, বয়সকালে তার হাড়ক্ষয় রোগ এবং হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি তত কম হবে।
এ রোগে একবার আক্রান্ত হলে তা আর পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে ওষুধ সেবন, ব্যায়াম করা, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সেবনের মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ানো যায়, যা রোগের ভয়াবহতা থেকে রোগীকে রক্ষা করে। হাড় ক্ষয় রোগের কারণে অল্প আঘাতে শরীরের হাড় ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় কোমরের হাড় ভেঙ্গে বা বেঁকে যাওয়ার ফলে শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়, ফুসফুস সংক্রামণ রোগ বেশি হয়। এ রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যায়। বাংলাদেশে ১০০ জনের ওপরে পরিচালনা করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ মানুষের ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে। মাত্র তিনজনের শরীরে পরিমিত ভিটামিন ডি আছে।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.