সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / বিএনপিতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে খালেদার মামলার রায় নিয়ে

বিএনপিতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে খালেদার মামলার রায় নিয়ে

বিএনপিতে প্রতিনিয়তই উৎকণ্ঠা বাড়ছে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় নিয়ে। সুবিচার নিয়ে শঙ্কায় দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতাদের দাবি, সরকার ইতোমধ্যে একটি ‘রাজনৈতিক রায়ের’ আভাস দিচ্ছে।

এনিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আর রায় ঘিরে অস্থিরতার আশঙ্কায় রয়েছে সারাদেশের মানুষ। ক্ষমতাসীন ও বিএনপি নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বিষয়টি আরও প্রকট হচ্ছে।
বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, আগামী নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে দূরে রাখতে ‘তড়িঘড়ি’ করে একটা রায় ‘বাস্তবায়নের’ চেষ্টা করা হচ্ছে। যে ‘রায় সরকার আগেই লিখে রেখেছে’।

আদালত স্বাধীনভাবে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিতে খালেদা জিয়া এ মামলায় বেকসুর খালাস পাবেন বলে দাবি করেন বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।

জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিববর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটা বিচারিক রায় হচ্ছে না, রাজনৈতিক রায় হচ্ছে। এই মামলাটা যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এখানে না বুঝার কিছু নাই।’

তিনি বলেন, ‘কী রায় হবে তা পুরো জাতি জানে। কারণ বিচারিক রায় এক রকম হয় আর রাজনৈতিক রায় হক এক রকম। রাজনৈতিক রায় থেকে প্রত্যাশা করার কিছু নেই। বিচারিক রায় থেকে মানুষ কিছু প্রত্যাশা করতে পারে। এখানে কোনো প্রত্যাশা নেই…।’

রায় পরবর্তি অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান বলেন, ‘তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার জন্য সরকার অনৈতিক পথে এগোচ্ছে। যখন সরকারের বিশেষ দূত ও মন্ত্রীরা রায় নিয়ে কথা বলেন, তখনই বিষয়টি পরিষ্কার হয় যায়।’

৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কোনো তাণ্ডব চালালে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাণ্ডব চালাবে কেন? এই মামলায় খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস পাবেন। এটা কোনো মামলাই না। তার মানে তাদের কাছে (মন্ত্রীদের) মেসেজ আছে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হবে, জরিমানা করা হবে। অতএব, তারা আগেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এ সমস্ত হুঁশিয়ারির কারণে বাংলাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।’

আহমদ আজম বলেন, ‘দেশের জনপ্রিয় নেত্রীকে শুধু রাজনৈতিক কারণে সাজা দেয়ার পাঁয়তারা করছে সরকার। এখানে কোর্টের কিছু নেই। কোর্ট চোখ বন্ধ করেও সাজা দিতে পারবে না। কারণ এটা কোনো মামলাই না। কোর্ট নয়, সরকার সাজা দিতে চাচ্ছে। কোর্টের মাধ্যমে, কোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে সেটা করা হচ্ছে।’

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের উৎকণ্ঠার কারণে হচ্ছে- সরকার সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো ডকুমেন্ট নেই। কোনো সাক্ষী বলতে পারেননি। সিনিয়র আইনজীবীরাও বক্তব্য দেয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, তড়িঘড়ি করে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করেছে আদালত। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সুবিচার হলে এ মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামানে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপি ছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে আওয়ামী লীগ সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলে ভোট করেছিল। এরপর তো ক্ষমতায় জোর করে বসে আছে। এদেশে আর এমনটি হতে দেয়া হবে না।’

এদিকে খালেদা জিয়ার মামলা রায় পরবর্তি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি।            সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/