সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / নির্বাচন সংক্রান্ত / বিশেষ প্রতিবেদন….. ঈদগাঁওতে দুই এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ চার বছর ধরে অপহরন আতংকে দিনাতিপাত

বিশেষ প্রতিবেদন….. ঈদগাঁওতে দুই এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ চার বছর ধরে অপহরন আতংকে দিনাতিপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর কালিরছড়া – ভূতিয়াপাড়ার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ চার বছর ধরে অপহরণ আতংকে দিনাতিপাত করে চলছে। অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ বানিজ্য কোন ভাবেই থামছেনা। এতে এলাকার সর্বশ্রেণী পেশার লোকজনের মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলা সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড ভূতিয়াপাড়া-কালিরছড়ার পাহাড়ী এলাকায় বসবাস করছে প্রায় ছয় শতাধিক পরিবারের প্রায় ৮/১০ হাজার লোকজন। এরা দিনের বেলায় স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই অন্যরকম আতংকে কাটে তাদের দিনকাল। অপহরন পূর্বক মুক্তিপণ বাণিজ্য মাথায় নিয়ে এলাকার কর্মজীবী, খেটে খাওয়া অসহায় লোকজন দৈনন্দিন কাজকর্ম করে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে পাঠাতে ভয়ও আতংক কাজ করছে অভিভাবকদের মাঝে।

এছাড়াও ভুতিয়ার পাড়া এলাকার কজন ব্যক্তির মতে, এলাকা হতে ২/৩ কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের কাছাকাছি স্থানে তাদের ধানী জমি রয়েছে। কিন্তু এসব জমিতে ফসল ফলানো যাচ্ছেনা। শুধু অপহরণ চক্রের ভয় আর আতংকের কারণে। এই সমস্যায় জর্জরিত এলাকার মানুষরা। সচেতন এলাকাবাসীর মতে, ভূতিয়াপাড়া আর কালিরছড়ার পাহাড়ে বসবাসকারী অসংখ্য মানুষদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। কখন যে কাউকে ছোবল মেরে অপহরণকারীরা পাহাড়ে নিয়ে যায় তার কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানাও নেই। এসব থেকে কবে পরিত্রান পাবে এর সঠিক উত্তরও মিলছেনা কারো কাছে। কালিরছড়া আর ভূতিয়া পাড়ার পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত লোক জনের সার্বিক নিরা পক্তা নিশ্চিতকল্পে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ টহল জোরদার করতে হবে। তাতেই অপহরণের মত জঘন্যতম অপরাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন এলাকার অসহায় লোকজন।

এদিকে ১৮ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে কালির ছড়ার পূর্বে হাদিক্কুম এলাকায় কুল বাগানে থেকে উত্তর পাড়ার মোহাম্মদ কালুর পূত্র ছৈয়দুল হক এবং মৃত আকতার হোসনের পূত্র কালাইচ্ছ্যা। একইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়। অপহরণের পর থেকে ঐ চক্রটি স্বজনদের কাছে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল। এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের স্বজনরা হিমছড়ি এলাকার পূর্বে গহীন জঙ্গলে মুক্তিপণ বুঝিয়ে দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে স্থানীয় মেম্বার জানান। অপহরণ বাণিজ্যের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। তবে প্রসাশন যদি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করে হয়তো আতংক কমে আসবে অনেকটা।

সচেতন মহলের মতে, পাহাড়ে বসবাসরত লোক জনেরা যদি একত্রিত হয়ে আন্তরিকতার সাথে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়,তাতেই পাহাড়ে অপরাদ অপকর্ম বন্ধ হবে বলে আশা বাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনের মতে, বেশ কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষজন অপহরণের ভয়ে আতংকে শান্তিতে নেই। আতংক কাটছেনা লোকজনের মাঝে। প্রসাশনের বিশেষ অভিযান এখন সময়ের দাবী বলেও জানান।

অন্যদিকে ৫নং ওর্য়াড়ের মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনারের মতে, অপহরণ বন্ধে প্রসাশন যদি পাহাড়ী এলাকায় হার্ডলাইনে অবস্থান না নেয়, তাহলে অপহরণ আর এই চক্রদের দমন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এদিকে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান কক্সভিউ ডট কম-এর এ প্রতিবেদককে বলেন, পাহাড়ী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে রাত্রী কালীন পুলিশী টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে রাতে কমিউনিটি পুলিশের সহায়তায় পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও-জালালাবাদ-পোকখালীর যোগাযোগ বন্ধ : পানি কমাতে ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়ায় মঞ্জুর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/