ভারতে যৌনকর্মী হিসেবে চাহিদা বাড়ছে থাইল্যান্ডের মহিলাদের। প্রতারিত হয়ে বা পাচারকারীদের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের মেয়েদের এদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে যৌনতার জন্য। বুধবার এমনই দাবি করেছে পুলিশ। কূটনীতিকরাও সহমত পোষণ করেছেন পুলিশের বক্তব্যে।
চলতি বছরের মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বই সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৪০ জন থাই মহিলা। এদের সকলেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ম্যাসাজ পার্লারে কাজ করতেন যৌনকর্মী হিসেবে। গত জুলাই মাসেই পুনের বিভিন্ন ম্যাসাজ পার্লারে হানা দিয়ে দশ জন থাই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই রাজ্যের পুলিশ। উদ্ধার হওয়া থাই মহিলাদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে। পুলিশের মতে, ‘উদ্ধার হওয়া মহিলাদের সকলেই শিক্ষিত। অনেকে উচ্চ শিক্ষিতও আছে। শুধুমাত্র পয়সা উপার্জনের জন্যেই দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য হয়েছে অনেকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার চাকরির খোঁজে ভারতে এসে বুঝতে পেরেছে যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছে।’
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ বা নেপাল থেকে আসা যৌনকর্মী অনেক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তা সঞ্জয় পাটিল। কিন্তু, সম্প্রতি থাই মহিলাদের বাড়বাড়ন্ত প্রমাণ করছে যে এদেশের যৌন ব্যবসায় চাহিদা বেড়েছে থাইল্যান্ডের মেয়েদের। ভারতে অবস্থিত ওই দেশের দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী দিল্লি, গোলাপি শহর জয়পুর এবং প্রযুক্তির শহর বেঙ্গালুরু থেকেই অনেক থাই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.