সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / মহেশখালীর খাইরুল আমিন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

মহেশখালীর খাইরুল আমিন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার ৩২ বছর পর মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতদের সাধন কুমার ছাড়া ৫ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র, মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে সরওয়ার আজম, তার ভাই মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত হাজী আবুল হোসেনের ছেলে শামশুল আলম, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ও মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন। ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাজা দেওয়া হয়। বাকী ২০ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি দেলোয়ার হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন। আদালতের এপিপি সুলতানুল আলম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলা হলে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে তা ২০০২ সালে বিচারের জন্য আদালতে যায়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১০ নভেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেছিলেন আদালত। প্রথমে ২৪ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য্য করেন। পরে পরিবর্তন করে ১ডিসেম্বর রায়ের চূড়ান্ত করেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার ফরিদুল আলম জানান, মামলায় ২৬ জন আসামী ছিল তার মধ্যে ২ জন মারা গেছে। ২৪ জনের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৫ জন আসামী কারাগারে আছে দন্ডিত আসামী সাধন পলাতক রয়েছে বাকিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকলের দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে চৌরাস্তার মোড়ে একটি ঔষধের ফার্মেসিতে বসা তৎকালীন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও তরুণ রাজনীতিবিদ খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত খাইরুল আমিন সিকদার গোরকঘাটার মৃত হামজা মিয়া সিকদারের পুত্র। এ ঘটনায় পরদিন নিহত খাইরুল আমিন সিকদার এর বড় ভাই মাহমুদুল করিম সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মহেশখালী থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৩০২/২৭/১০ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ১৯৯০ সালের ২৪ নভেম্বর নতুন আরো একজন আসামিকে যুক্ত করে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটের ২৬ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে ৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে আদালতে বিচার শুরু করা হয়।

মামলায় ৩৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাচাই, সুরতহাল প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও আলামত প্রদর্শন, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্কসহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বৃহস্পতিবার উল্লেখিত আসামিদের দোষী করে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।

তবে এই এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামী পক্ষ। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

উল্লেখ্য যে, নিহত খাইরুল আমিন সিকদার মহেশখালীর বিশিষ্ট রাজনীতিক ড. আনসারুল করিমের ভাই।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/