নিজস্ব প্রতিবেদক; কক্সভিউ :
কক্সবাজার পৌরবাসীর গলার কাটা নালা-নর্দমা উচ্ছেদের ২য় দিনে চাউলবাজারের সেই রাবেয়া কুটিরের দুটি ভবনসহ ৪টি উচ্ছেদ করা হয়েছে। নানা বাধা আসলেও পৌর মেয়রের নেতৃত্বে পৌরবাসীর ২য় দিনের উচ্ছেদ সফল হয়েছে। শুক্রবার বন্ধের দিনের ছুটি বাতিল করে পৌরসভা এ অভিযান অব্যাহত রাখে। শনিবারও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
১৭ মার্চ ২য় দিনের অভিযানে নুরুল হক কোম্পানির রাবেয়া কুটিরের দু’টি ভবন, সাধুর স্থাপনা, আনোয়ারের স্থাপনা, হোটেল শাহেরাজের দুটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সাথে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, ছালামত উল্লাহ বাবুল, জাভেদ মো: কায়সার নোবেল, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নুরুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, সার্ভেয়ার আবদুল মান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অভিযান চলাকালিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন-‘প্রস্থ ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ১০ ফুট নালা দখল করে গড়ে তোলে ৬তলার রাবেয়া কুটির। এই কুটিরের একই মালিক অন্যদিকে প্রস্থ ৬০ দৈর্ঘ্য ৮ ফুট নালা দখল করে আরও একটি ৪তলা ভবন গড়ে তোলে। এভাবে অসংখ্য স্থাপনা প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে নালার উপর। এসব স্থাপনা পৌরবাসীর গলার কাটা হয়ে আছে। আর দখলবাজরা আছে ফুর্তিতে। পৌরবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে দখলবাজদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে যে তারা কত অপরাধী।’
তিনি আরো বলেন-‘যতদিন পর্যন্ত উচেছদ কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হবে ততদিন দিন পর্যন্ত বন্ধের দিনেও অভিযান চলবে। কক্সবাজার পৌর এলাকার নালা-নর্দমা দখলকারি যতই শক্তিশালী তাদের আর ছাড় দেয়া হচ্ছেনা।’ এ জন্য পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র পৌরবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ১৬ মার্চ নালা দখলকারিদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন। এতে জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ পৌরবাসী এগিয়ে আসেন। প্রথম দিনে কক্সবাজারের নাম সর্বস্ব নিস্ক্রিয় সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকাসহ অবৈধ স্থাপনা আবু সেন্টারসহ ৭টি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়।
You must be logged in to post a comment.