গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে টেকনাফ পৌরসভা। গত ২৯ মে গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় এলাকাগুলি। ভেঙ্গে যায় শতশত বাড়ীঘর। ধ্বংস হয়ে যায় হাজার হাজার গাছপালাসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলি জমিগুলো। সেই ঘুর্ণিঝড়ে টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শতশত বাড়ীঘর।
টেকনাফ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে এক জরুরী ব্ঠৈকে মিলিত হয়। উক্ত বৈঠকে সবার মতামতের ভিত্তিতে পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ৮ জুন দুপুর ১ টা থেকে ত্রাণ বিতরণ করার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উক্ত ত্রাণবিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পৌরসভার কার্যালয় চত্বর থেকে ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণের এক একটি বস্তা তুলে দেওয়া হয়। বস্তায় চাল, ছোলা, চিনি, তৈল, সেমাই, ময়দা ও পিঁয়াজ নানা প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছিল।
ত্রাণ বিতরণকালে মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি বেসরকারি ভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাহায্য ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ পৌর কর্তৃপক্ষ অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০০ পরিবারের মাঝে ধারাবাহিকভাবে এই ত্রাণগুলো বিতরণ করা হবে। টেকনাফ পৌরসভার কাউকে না খেয়ে এবং খোলা আকাশের নীচে যেন বসবাস করতে না হয় সেই ব্যবস্থাও হাতে নেওয়া হয়েছে। যা সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ইতিমধ্যে সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যেন রমজানের দিনে মানবেতর জীবন না কাটায়। পর্যায়ক্রমে এ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ত্রাণ বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা কার্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
You must be logged in to post a comment.