সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জীব ও প্রকৃতি / যেসব দেশে সাপ নেই 

যেসব দেশে সাপ নেই 

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে জীববৈচিত্র্য। মানুষ যেমন বিশ্বজুড়ে বসবাস করে, তেমনই বসবাস থাকে জীবজন্তুর। জঙ্গলের পরিবেশে জীববৈচিত্র্যের বিচিত্র রূপ দেখা যায়। পাওয়া যায় বিচিত্র প্রাণীর সন্ধান। খুবই পরিচিত একটি সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সাপ। যা খুবই বিষাক্ত। সাপের এর কান নেই। জিবের সাহায্যে এরা যেকোনো শব্দ শুনতে পারে। ধারণা করা হয়, এক লাখ বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগে টিকটিকির কোনো প্রজাতি থেকেই সাপের সৃষ্টি হয়েছিল। সরীসৃপ প্রাণী সাপের উপস্থিতিও কম-বেশি সব দেশেই রয়েছে।

পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়ই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। তবে এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে সাপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। বিশ্বের কোনও দেশে সাপ নেই শুনলে অবাক তো লাগবেই। হ্যা এটি অস্বাভাবিক নয়। সাপের মতো বহুল পরিচিত সরীসৃপের উপস্থিতি নেই আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে।

জল ও স্থলভাগ অতিমাত্রায় শীতল–এমন দেশে সাপ বসবাস করতে পারে না। শুধু আয়ারল্যান্ডই নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশেই স্থানীয় প্রজাতির কোনো সাপ নেই। সেগুলো হলো- আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, হাওয়াই, নিউজিল্যান্ড, কানাডার একটি অংশ, উত্তর রাশিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতপ্রধান দেশে সাপ একদমই নেই।

দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের আদি প্রাণীর মধ্যে সাপের অস্তিত্ব নেই। সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে সাপ এই দেশের তীরে ভিড়ে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড শীত প্রধান দেশ হওয়ায় তা সাপের বসবাসের অনুকূলেও থাকে না। তাই এই দেখে সাপের বংশবিস্তারও সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

এদিকে সাপ শূন্য আরও একটি দেশ আয়ারল্যান্ড। এই দেশে পেগানিজম থেকে ক্রিশ্চিয়ানিটিতে বদলের সময় আয়ারল্যান্ডের সেন্ট প্যাট্রিক পাঁচের শতকেই আয়ারল্যান্ডকে সর্পহীন করে দেন। সেন্ট প্যাট্রিক পাহাড়ের মাথায় ৪০ দিনের উপবাস পালন করেন। ওই সময় সাপেরা তাকে খুব বিরক্ত করতো। তিনি রেগে গিয়ে সাপেদের আইরিশ সমুদ্র পর্যন্ত তাড়া করেন। এরপর থেকেই আয়ারল্যান্ডের দ্বীপে কখনও সাপের দেখা মেলেনি বলে লোকমুখে শোনা যায়।

তবে পরিবেশবিদরা জানান, পৃথিবীতে বরফযুগের অবসান হলেও আয়ারল্যান্ডের আবহাওয়া অপরিবর্তনশীলই রয়েছে। যার কারণে ইউরোপ ভূখণ্ড থেকে আয়ারল্যান্ড পৃথক হয়ে যায়। দুই ভূখণ্ডের মাঝে ১২ মাইল দীর্ঘ অঞ্চলের উৎপত্তি হয়। আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মাঝে তৈরি হয় নর্থ চ্যানেল। যার ফলে সাপেরা এখানে প্রতিকূল পরিবেশ পেরিয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। তাই আয়ারল্যান্ডে সাপের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব দেশে সাপ ছেড়ে দেয় পরীক্ষার জন্য। এখনো তারা গবেষণা করছেন–বরফে আচ্ছাদিত এসব দেশে সাপ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে কি না?

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/04/Thermometer-Hit-Hot.jpg

বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, রাতে বাড়বে গরম

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকাসহ দেশের কোনো বিভাগেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/