ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় আমেনা আক্তার নামে ১০ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। জেলার আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজার বিরুদ্ধে ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আফরোজাকে আসামি করে মেয়েটির ফুফু টুনি মডেল থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার বলেন, ‘মেয়েটিকে নির্যাতন করা হয়েছে কয়েক মাস আগে। তবে আমার থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আফরোজাকে। নির্যাতনের ঘটনা ঢাকার হলেও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা মামলা নিয়েছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার পশুরামপুর উপজেলার আমেনাকে প্রথমে আফরোজা গৃহকর্মী হিসেবে কাজে নেয়। আফরোজা এরপর আমেনাকে তার ননদের বাসায় ঢাকায় পাঠায়। ঢাকাতেও আমেনা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে।
ঢাকার ওই বাসায় আমেনাকে নির্যাতন করা হয় জানিয়ে পুলিশ আরও জানায়, তার শরীরের পেছনের অংশ আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। যা এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
পুলিশ আরও জানায়, আমেনাকে নির্যাতনের পরে ঢাকা থেকে আফরোজার কাছে পাঠানো হয়। আফরোজা আবার ওই গৃহকর্মীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে আমেনা ফেনী রেলস্টেশনে অবস্থান করে।
ওসি রাশেদ জানায়, নির্যাতিত আমেনাকে রেলস্টেশন থেকে নিয়ে শনিবার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আবাসিক) অসীম কুমার সাহা বলেন, ‘৯ জুলাই রোববার দুপুর থেকে রোগীর সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। শিশুটির ক্ষত ৩-৪ মাস আগের। এই কারণে আমেনার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়ে গেছে।’
ওসি রাশেদ খান চৌধুরী, অভিযুক্ত ওই গৃহকর্ত্রীকে সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ সর্বোচ চেষ্টা করছে তাকে ধরার জন্য। শিশুটি তার গৃহকর্ত্রীর নাম ‘আফরোজা ম্যাডাম’ ছাড়া আর কিছু বলতে পারেনি।
এদিকে ইতোমধ্যেই নির্যাতনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
সূত্র:খোরশেদ আলম/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.